মিষ্টি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ছোট করে কথা বলেছে- রেসি।

আভা ডেস্কঃ ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত। সম্প্রতি একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এ সময় ব্যক্তিগত বিষয়ের পাশাপাশি ঢাকাই চলচ্চিত্রের নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। কিন্তু নিজেদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে মিষ্টি জান্নাতের মন্তব্য মোটেও ভালোভাবে নেননি এক সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা মৃদুলা রেসি। তার ভাষায়—‘দুঃখিত মিষ্টি জান্নাত। আমি নিজে একজন ফিল্মের অভিনেত্রী হয়ে তোমার এসব কথা হজম করতে পারলাম না।

ওই অনুষ্ঠানে মিষ্টি জান্নাত কী এমন বলেছেন যা ভালো লাগেনি রেসির? ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও ফুটেছে দেখা যায়, সঞ্চালক মিষ্টিকে প্রশ্ন করেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাকে কে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন? জবাবে মিষ্টি বলেন, ‘সবাই কষ্ট দেয় আবার সবাই কষ্ট দেয়ও না। এটা আসলে সময়ের উপর নির্ভর করে। আমি কষ্ট পেলে কষ্ট দেবে, আমি না পেলে তো কেউ কষ্ট দেবে না।’ বাংলাদেশের সেরা নায়িকা কে? উত্তরে মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘যে যার দিক থেকে সেরা।’ একজনের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একজনের নাম বলতে পারবো না।’ একই উত্তর মেলে সেরা নায়কের বেলায়ও।

এরপর তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনার দেখা সেরা বাংলা চলচ্চিত্র কোনটি? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আসলে বাংলা ছবি আমি দেখতাম না কখনো।’ আপনি বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকা আর বাংলা চলচ্চিত্র দেখেন না? জবাবে মিষ্টি বলেন, ‘কিছু কিছু দেখি।’ আপনার কাছে কার চলচ্চিত্র ভালো লাগে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে আমার ছবিই ভালো।’ তার মানে কি অন্য কারো চলচ্চিত্র ভালো লাগে না? জবাবে মিষ্টি বলেন, ‘না, ভালো লাগে না। কারণ ওই ছবিতে আমি নেই তাই!

মূলত এসব মন্তব্যের কারণে কিছুটা চটেছেন রেসি। মিষ্টির অজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রেসি বলেন—‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিটা কোনো ফাজলামি করার জায়গা না। ফিল্ম না দেখে, ফিল্মের নায়ক-নায়িকাকে না চিনে, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতখানি তা না জেনে এভাবে কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরকে ছোট করে কথা বলার অধিকার তোমার নাই। আগে বড়দের সম্মান দিতে শেখ। তারপর নিজের অবস্থান তৈরি করো।

২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে মিষ্টি জান্নাতের। দেশের পাশাপাশি ওপার বাংলার সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। টলিউড অভিনেতা সোহম, ঢাকাই চলচ্চিত্রের সাইমন সাদিক, বাপ্পি চৌধুরী, জয় চৌধুরীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন মিষ্টি। তার অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ‘তুই আমার রানি’।

অন্যদিকে ২০০৪ সালে বুলবুল জিলানী পরিচালিত ‘নীল আঁচল’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে চিত্রনায়িকা রেসির। এরপর বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। ডিপজলের সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কয়েকটি সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। এ পর্যন্ত তার অভিনীত ৪০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।

Next Post

কে পাচ্ছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার?

বৃহস্পতি ডিসে. ১৭ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ শেষের দোরগোড়ায় ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি  কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে শুরু হয়ে গেছে কাটা-ছেঁড়া। কেউ খেলেছেন প্রত্যাশার চেয়েও বেশি আবার কেউ ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতিমধ্যে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়দের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পুরস্কার টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটারের জন্য। […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links