আভা ডেস্কঃ উসকানিমূলক বক্তব্য ও কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল গ্রেপ্তারকৃত হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের। রিমান্ডের প্রথম দিনে তিনি গোয়েন্দাদের জেরার মুখে এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রিমান্ডে তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মামানুল হক বলেন, তার স্বপ্ন ছিল রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার। এজন্য দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের জড়ো করেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সময় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন বলেও স্বীকার করেন। পরে কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে তিনি সেভাবেই কাজ করছিলেন।
নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে মামুনুলের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছিলেন। এছাড়া সাদপন্থীদের মারধরের কথা স্বীকারও করেছেন। তিনি জুবায়েরপন্থীও। জোশের কারণে ওয়াজ মাহফিলের বক্তৃতায় শাহরিয়ার কবির, রাশেদ খান মেনন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি যে মানহাকির বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন।
ডিসি হারুন বলেন, মামুনুল বিভিন্ন সময় ইউটিউব বা ফেসবুকে রাষ্ট্রবিরোধেী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, এটি রাজনীতিক বক্তব্য। যা অনেক রাজনীতিবিদ দিয়ে থাকেন। আমি তেমনটিই করেছি। ২৫, ২৬ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের ভাঙচুর-জ্বালাও পোড়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তার প্রথম স্ত্রী, নারায়ণগঞ্জে নারী কেলেঙ্কারি, তার কতজন স্ত্রী আছে ইত্যাদি তথ্য দিয়েছেন। যেগুলো নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলাম। তারা রাজধানী ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, হামলা-সংঘর্ষসহ নাশকতা কর্মকাণ্ড করে। নারায়ণগঞ্জে ৫০টির মতো মামলা হয়। এছাড়া অন্যসব এলাকাতে প্রায় দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যেই গুরুত্ব বুঝে মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে।