আভা ডেস্কঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ওপর জনআস্থা বেড়েছে দাবি করে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, এ বছর দুদকের কার্যক্রম ঊর্ধ্বমুখী। তদন্ত, অনুসন্ধান সবই বাড়ছে। আমাদের ওপর জনআস্থা বেড়েছে। ফাঁদ মামলাও হয়েছে অনেক। ফাঁদ মামলার কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষের প্রবণতা কমেছে।
রোববার সকালে সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করপোরেশন আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। গণশুনানির সংখ্যা বেড়েছে। মামলায় সাজার হারও বেড়েছে। কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছি। সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিতেও কাজ করা হচ্ছে। কোনও মানুষ যেন হয়রানি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সবক্ষেত্রে মামলার চার্জশিট দেয়া যায় না। দুর্নীতির টাকা কোথায় গেল, সেটা বের না করা গেলে চার্জশিট দেয়া সম্ভব না।
মানি লন্ডারিং মামলায় শতভাগ সাজা হয়েছে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ মাহমুদ বলেন, অর্থপাচারের ঘটনা ঠেকাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে মামলা করতে হবে। তা না করলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক।
সরকারের শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন এ অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু দুদক কাজ করছে। এরইমধ্যে ১৮৭ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দুদক যাদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া তাদের বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং অভিযুক্তদের আনন্দে থাকার কোনো সুযোগ নেই। দুর্নীতি যেই করুন না কেন, তাকে দুদকের বারান্দায় আসতে হবে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শিশুদের নৈতিকতা বাড়াতে ২৭ হাজার সততা সংঘ ও ৪ হাজার সততা স্টোর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মানসিক পরিবর্তন না হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব না। সবার সমন্বিত প্রয়াস ছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব না।