আভা ডেস্কঃ মাদক মামলার বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান থাকছে না। ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মাদকদ্রব্যের সব অপরাধ বিচার করার কথা থাকলেও নতুন সংশোধিত আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান বাদ দিয়ে তৈরি সংশোধিত আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৮ সালের আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মাদকদ্রব্যের সব অপরাধ বিচার করার কথা বলা ছিল। শুধুমাত্র টাইব্যুনালের মাধ্যমে মামলা করতে গেলে লম্বা সময় নেয়, ডিসপোজাল হতে এবং আপিলের ক্ষেত্রে কমপ্লিকেসি হয়, সেজন্য আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংশোধন আনা হয়েছে, সামারি ট্রায়াল করা যায় কিনা। কিন্তু সিআরপিসি ২৬০ ধারা অনুযায়ী সামারি ট্রায়ালের অথরিটি শুধুমাত্র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য আইনে অনেকগুলো মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেগুলোতে এখানে স্পেশাল জজ বা জেলা জজদের আনা যাবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেজন্য দুইটা ভাগ করে এটা ট্রাইব্যুনালের পরিপ্রেক্ষিতে এখতিয়াভুক্ত আদালত করার প্রস্তাব করা হয়েছে যাতে জেলা জজ বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যে অপরাধগুলো সাত বছর পর্যন্ত সাজা হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেগুলো প্রথম শ্রেণির বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দিয়ে উনারা ট্রায়াল করলে সেক্ষেত্রে লোড কমে আসবে। অনেক মামলা কুইকলি ডিসপোজাল হয়ে যাবে।
‘সেক্ষেত্রে সাত বছরের নিচে যেগুলোর সাজা সেগুলো মেট্রোপলিটন বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ট্রায়াল করে ২৯০ দিনের মধ্যে মামলা শেষ করে দিতে পারবেন।
ইয়াবার উৎপাদন, পরিবহন, বিপণনের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় সংসদে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৮’ পাস হয়। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়।