আভা ডেস্কঃ দেশের জনপ্রিয় গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ। মায়ের অনুপ্রেরণা ও সর্বোচ্চ সহযোগিতায় আজকের অবস্থানে এসেছেন। সেই মাকেই ১ জুন নিজের জন্মদিনে খুব মিস করবেন বলে জানিয়েছেন। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে প্রতিটি জন্মদিন মায়ের সঙ্গেই কাটানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু এবার সেটা হচ্ছে না।
গত বছর ১২ ডিসেম্বর মা তাকে ছেড়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাই এবারই প্রথম মা’কে ছাড়াই জন্মদিনের সময়টা পার করতে হবে কুমার বিশ্বজিতকে। করোনার এই ক্রান্তিকালে নিজের জন্মদিন নিয়ে কোনো উচ্ছাস নেই, আনন্দ নেই। অবশ্য কখনোই জন্মদিন নিয়ে তেমন কোনো আয়োজন হতো না।
তবুও সোমবার জন্মদিন কীভাবে উদযাপন করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে জীবন জীবিকার প্রশ্নে এতো বেশি দুঃশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা- সেখানে আমার জন্মদিনটি আসলে বড় বেশিই গৌণ হয়ে যায়। সারা বিশ্বের মানুষের মতো বাংলাদেশের মানুষও দুর্বিষহ সময় পার করছেন। আনন্দ উদযাপনের বিষয় এড়িয়ে মানুষ এখন জীবন-জীবিকা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। করোনার সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে অসামাজিক হয়ে যাওয়া। অথচ জন্মদিন একটি সামাজিক বিষয়। সেই সামাজিকতার ন্যূনতমটুকুও করা যাবে না। তাই দিনটি নিয়ে ভীষণভাবে ভাবারও অবকাশ নেই।
কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, মাকে ছাড়া আমার জীবনের প্রথম জন্মদিন। এমনিতেও ভালো কাটতো না এবং সবমিলিয়ে ভালো কাটবেও না। অনেক শ্রদ্ধা জানাই, আন্তরিক ভালোবাসা জানাই করোনার এই ক্রান্তিকালে যারা সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন। যেমন ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, পুলিশ তথা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিভিন্ন সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ আরও যারা বিভিন্ন স্তরে কাজ করছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
তিনি বলেন, দেশকে স্বাধীন করতে আজও যেমন শ্রদ্ধার সঙ্গে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের জাতি স্মরণ করে, আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ করোনাকালের এই সম্মুখ যোদ্ধাদের নিশ্চয়ই মনে রাখবে। সবার মতো আমারও চাওয়া, আমাদের সামাজিক জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক, পৃথিবী সুস্থ হোক, শান্ত হোক। বিবর্ণ জীবনে ফিরে আসুক রঙিন পালক।
এদিকে লকডাউনের এই দিনগুলোতেও কুমার বিশ্বজিতের সার্বিক পরিকল্পনায় ও সুরে দুটি গান প্রকাশ হয়েছে। দুটি গানই লিখেছেন লিটন অধিকারী রিন্টু এবং সঙ্গীতায়োজন করেছেন কিশোর। গান দুটির একটি হচ্ছে ‘লকডাউন’ এবং অন্যটি হচ্ছে ‘ঈদ আনন্দ’। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশীতা, ইমরান, লিজা ও কিশোর।