নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জে র্যাব-১১’র পৃথক অভিযানে ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত শনিবার (৪ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি’র পৃথক অভিযানে জেলার বন্দর থানার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এবং নবীগঞ্জ এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজি থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে তাদের হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ১৪,৫৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মামুন (৩২), দেলোয়ার (৪০) এবং সায়মন(২১)।
রবিবার (৫ জানুয়ারী) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র্যাব-১১’র সদর দপ্তর থেকে সিপিএসসি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরী, পিপিএম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রাবাহী বাস, সিএনজি ও অটোরিক্সা থামিয়ে গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক গাড়ী প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। নারায়ণগঞ্জের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত যাত্রীবাহী সিএনজি থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে উক্ত চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য মামুন ও দেলোয়ারকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তাদের দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ১২,১৫০ টাকা জব্দ করা হয়। চাঁদাবাজির পৃথক আরেকটি অভিযানে বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য সায়মনকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তার দখল হতে চাঁদাবাজির নগদ ২৩৮০ টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ নবীগঞ্জ এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত পণ্য বোঝাই ট্রাক থামিয়ে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতি ট্রাক হতে ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে। উল্লেখ্য হাজী গোলাম হোসেন নামক এক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে নবীগঞ্জ কামাল উদ্দীনের মোড় টেম্পু স্ট্যান্ড ইজারা নিয়ে ইজারার শর্ত লঙ্ঘন করে সড়কে চলাচলরত পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। আসামীরা এরূপ অপতৎপরতা পূর্বে হতে করে আসছে মর্মে স্বীকার করে। তাদের অত্যাচারে পরিবহন চালকরা অতিষ্ঠ। উল্লেখ্য, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজি রোধকল্পে গত বছরের জুন হতে এই পর্যন্ত র্যাব-১১’র ধারাবাহিক অভিযানে মোট ৩৫টি মামলা দায়ের করা হয় এবং মোট ৯৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়। চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র্যাব নিশ্চিত করেছে।