মনিরামপুর থানার রফিক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার-৬ এবং অস্ত্রগুলি উদ্ধার।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোর মনিরামপুর থানা এলাকায় গত ৯ জুলাই চাঞ্চল্যকর ও লোমহলর্ষক হত্যার ছয় আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এ সময় গ্রেফতারদের নিকট থেকে অস্ত্রগুলি উদ্ধারও করেছে । গত ৯ জুলাই বিকালে মনিরামপুর থানাধীন কুচলিয়া জনৈক কল্যানের মাছের ঘেরে দক্ষিণ পাশ্বে রফিকুল ইসলাম (৫৫) গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতরা । মৃত রফিকুল মধুপুর এলাকার মৃত আমারত বিশ্বাসের ছেলে । ঐ দিন মৃত রফিকুলের স্ত্রী শিরিনা আক্তার বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ।

এরপর পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে ।

মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহলর্ষক হওয়ায় পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম এর দিক-নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা ও মনিরামপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে অভয়নগর, কোতয়ালী ও মণিরামপুর থানা এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত আসামী ১। মোঃ হেলাল ভুইয়া (২০), ২। সেলিম (২৬), ৩। হাসান আলী (২২), ৪। সমিরন পাড়ে (৫৪), ৫। তাপস মোড়েল (৩৮) দেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

আসামীদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ভিকটিম রফিকুল ইসলামকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র (ক) ১টি দু’নালা বন্দুক (খ) ২ (দুই) রাউন্ড কার্তুজ গুলি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্তে অভয়নগর থানার মামলা নং-১৩ তাং-১৮/০৭/২০২০খ্রিঃ ধারা-১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-ক রুজু করা হয়েছে।

হত্যার কারণ :

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীরা নব্য ‍‍‍‘‘পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির’’ পরিচয় দিয়ে এলাকায় মাছের ঘের দখল, চাঁদা দাবী ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে।ভিকটিম রফিকুল ইসলামও চরমপন্থি দলের সদস্য ছিল বলে জানা যায় এবং তার নামে একটি হত্যা মামলা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বর্ণিত সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অত্র মামলার ভিকটিম রফিককে টাকা ও মোবাইল ফোন দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গুলি করে ও জবাই করে হত্যা করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ

১। মোঃ হেলাল ভুইয়া (২০), পিতা- মোঃ আয়নাল হক ভুইয়া, সাং- রানা বাটা, ৪নং ওয়ার্ড নওয়াপাড়া, থানা-অভয়নগর, জেলা-যশোর।

২। মোঃ সেলিম (২৬), পিতা- আতিয়ার রহমান, সাং-উত্তর বাহাদুরপুর, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর।

৩। মোঃ হাসান আলী (২২), পিতা- জলিল গাজী, সাং- উত্তর বাহাদুরপুর, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর।

৪। সমিরন পাড়ে (৫৪), পিতা- মৃত মহাদেব পাড়ে, সাং- ডাঙ্গা মশিহাটি, থানা-অভয়নগর, জেলা-যশোর।

৫। তাপস মোডেল (৩৮), পিতা-মৃত গোবিন্দ মন্ডল, সাং-নেবুগাতি, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর।

পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামীঃ

১। মোঃ হাদিউজ্জামান রানা (৪৪), পিতা- মোঃ আমজাদ হোসেন, সাং- বাহাদুরপুর, থানা- মণিরামপুর, জেলা-যশোর।

 

Next Post

মাঠ কাঁপানো আরিফ এখন ৪০০ টাকার রাজমিস্ত্রীর যোগালী!

শনি জুলাই ১৮ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ একসময় ফুটবলের মাঠ কাঁপাতেন তিনি। মাঠের রক্ষণভাগের বাঘা বাঘা ডিফেন্ডার পেরিয়ে বিপক্ষ দলের জালে ফুটবল পৌঁছালেও জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে করছেন লড়াই। জীবিকার তাগিদে সংসারের অভাব মেটাতে বাংলাদেশ পেশাদার লীগে মাঠ কাঁপানো স্ট্রাইকার আরিফ এখন রাজমিস্ত্রীর যোগালী। সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা বছরে পাওয়া দেশের প্রথম শ্রেণীর স্বনামধন্য টিমে অংশ […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links