আভা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিরোধিতার বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এ ঘটনায় ইন্ধনদাতা ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এ বি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ সালে ইসলামের নামে খুন-ধর্ষণ, ২০১৩ সালে আন্দোলনের নামে কোরান শরীফ পোড়ানো এবং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা এবং ভাস্কর্য নির্মাণে বিরোধিতা একই সূত্রে গাঁথা বলে বৈঠকে জানানো হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশে ভাস্কর্যকে ইস্যু করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামের নামে খুন, নারী ধর্ষণ, ২০১৩ সালে আন্দোলনের নামে কুরআন শরীফ পুড়িয়ে ফেলা ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা এবং ভাস্কর্য নির্মাণে বিরোধিতা একই সূত্রে গাঁথা।
বৈঠকে বলা হয়, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সব চক্রান্ত ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার কথা বলেছে। আমরা বলেছি এ বিষয়ে জনমত গড়ে তুলতে হবে। যারা ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবে হবে।
এদিকে, বৈঠকে রাজাকারদের তালিকা তৈরির অগ্রগতি নিয়ে আলেচনা হয়েছে উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত সাব কমিটির প্রধান শাজাহান খান বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের উপজেলা পর্যায়ের সদ্য সাবেক কমান্ডারকে আহ্বায়ক করে এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন জীবিত কমান্ডারদের নিয়ে রাজাকারদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করার পরামর্শ দিয়েছি। মন্ত্রণালয় এ কমিটি গঠনের জন্য সব জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেবে।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্ট ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।