ভর্তি ও প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে এমপি হারুনের ক্ষোভ প্রকাশ ।

আভা ডেস্কঃ মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ। তিনি বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। অথচ মন্ত্রী কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সঠিক উত্তর দেননি উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানান তিনি।

মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনার সুযোগ নিয়ে হারুনুর রশীদ সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য জমা দেয়া প্রশ্ন পরিবর্তনের অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা কষ্ট করে সংসদে প্রশ্ন জমা দেই। তার আলোকে আপনি ক্ষমতাবলে যেগুলো গ্রহণ করেন, মাননীয় মন্ত্রীরা তার উত্তর দিয়ে থাকেন। আমরা যেভাবে প্রশ্নটা জমা দেই, হুবহু সেইভাবে আসা উচিত। আপনি গ্রহণ না করতে পারেন। কিন্তু আপনার মতো করে তো পরিবর্তন করতে পারবেন না। এই বিষয়টি দৃষ্টিতে আনতে চাই।

জবাবে স্পিকার বলে, কার্যপ্রণালী বিধির বিষয়টি উল্লেখ করে প্রশ্ন পরিবর্তনের যে বিষয়টি তুলেছেন সেটা আমি দেখব। প্রশ্ন ঠিক থাকে, না পরিবর্তন হয় সেই বিষয়টি আমি দেখব। এরপর সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বক্তব্য শুরু করলে তাকে থামিয়ে দেন স্পিকার।

এ সময় হারুনুর রশীদ বলেন, তার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেছেন, গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় অসৎ উপায়ে ভর্তির কোনও অভিযোগ কোনও পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রীর ওই জবাব সঠিক নয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সিআইসি তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন ফাঁস করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। মন্ত্রী যে উত্তরটি দিয়েছেন এটি সঠিক নয়। এই উত্তর বাতিল করতে হবে।

Next Post

হত্যার পর লাশ ট্রাষ্কবন্দি করে শিশুর বাবা মা নিজে ।

মঙ্গল সেপ্টে. ৮ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ অবশেষে রামডাঙ্গা ফরেস্টে ফেলে রাখা ট্রাঙ্কবন্দি অজ্ঞাতনামা শিশুটির লাশের হদিস মিলেছে। রংপুর পিবিআইয়ের তদন্তে ওই অজ্ঞাতনামা শিশুটির খুনিরা গ্রেফতার হলে তার পরিচয় পাওয়া যায়। শিশুটির নাম জিহাদ হোসেন (১২)। বাবা জিয়াউর রহমান ও সৎ মা আলেয়া মনি তাকে হত্যা করে লাশ গোপন করতে ট্রাঙ্কবন্দি করে ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে। […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links