নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ব্যাকমেইল চক্রের এক নারী সদস্যের ফাঁদে পড়েন গোদাগাড়ী থানাধীন জাহানাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল হক (৪৩)। ১৯ নভেম্বর রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চাচাকে দেখতে আসেন তিনি। সেখানে ব্ল্যাকমেইল চক্রের সদস্য নার্গিস নাহার হেলেনের সঙ্গে পরিচয় হন তিনি। কথা ফাঁকে কৌশলে ফোন নম্বর নেন হেলেন। পরে দিন ২০ নভেম্বর হেলেন অনেকবার ফোন করলে বেলা ১২ টার দিকে ফোন রিসিভ করেন আব্দুল হক। জরুরী প্রয়োজনে আব্দুল হককে দেখা করতে বলেন হেলেন। খুবই আকুতি মিনতি করে আব্দুল হককে বায়া বাজার নামক স্থানে দেখা করতে আসতে বললে তিনি (আব্দুল হক) দেখা করতে আসেন। সেখান থেকে তাকে অটোতে করে বিভিন্ন কথা বার্তায় পবা থানাধীন চৌবাড়িয়া গ্রামস্থ হেলেনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ঢুকার পর অজ্ঞাতনামা তিনজন পুরুষ বাসায় ঢুকে তাদের এলোপাথাড়ি মারপিট করে। ঐ তিন ব্যাক্তি আব্দুল হককের নিকট ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চান। আব্দুল হকের নিকট ২০ বিশ হাজার টাকা ছিল তা হেলেনসহ তার সঙ্গীরা বের করে নেন। পরে আব্দুল হকের স্ত্রীকে ফোন করে নিজের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিকাশে ২০ হাজার টাকা নেন। এ বিষয়ে পবা থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন আরএমপি মিডিয়া মুখ্যপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস ।
আসামীরা হলেন, ১। মোসাঃ নার্গিস নাহার@ হেলেন(৫৫) স্বামী- মোঃ ইউসুফ আলী মাষ্টার, সাং-চোবাড়ীয়া, থানা-পবা, মহানগর রাজশাহীকে পবা থানাধীণ চৌবাড়িয়া গ্রামস্থ একটি একতলা সাদা রংয়ের টাইলস করা বাড়ী হতে মহিলা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করেন পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী অপরাপর সহযোগী আসামী ১। মোঃ রফিকুল ইসলাম(৩০) পিতা-মৃত আব্দুল সামাদ তালেব, সাং-রোড নওদাপাড়া, থানা-শাহমখদুম, ২। মোঃ আতিকুর রহমান বাপ্পী(২৮) পিতা- মোঃ আমিনুর রহমান, সাং-অলকার মোড়, থানা-বোয়ালিয়া, ৩। হামিম আল ফজলে নুর ওরফে শুভ্র(২৮) পিতা-মৃত শফিকুল আলম@ শরিফুল, সাং-নামোভদ্রা (হযের মোড়) পদ্মা আবাসিক, থানা-চন্দ্রিমা, সর্ব মহানগর রাজশাহীগণদের গ্রেফতার করেন এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন। বিবাদীগনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় মোসাঃ নার্গিস নাহার@ হেলেন(৫৫) বিভিন্ন লোকদের টার্গেট করে তাদের সাথে বিভিন্ন অজুহাতে মানবিক সাহায্যর আবেদন চেয়ে মোসাঃ নার্গিস নাহার @ হেলেন(৫৫) কৌশলে অপরহণ করে তার পবা থানাধীণ চৌবাড়িয়া গ্রামস্থ তার বাড়ীতে নিয়ে আসেন। তখন তার সহযোগী ১। মোঃ রফিকুল ইসলাম(৩০), ২। মোঃ আতিকুর রহমান বাপ্পী(২৮) ৩। হামিম আল ফজলে নুর ওরফে শুভ্র(২৮) মারপিট করে এবং নগ্ন করে ছবি তোলে মুক্তিপণ আদায় করে এবং মুক্তিপন আদায় শেষে ভিকটিমকে মোটরসাইকেল রাজ মেট্রো-হ-১১-১৩৯০ যোগে ঘটনাস্থল হতে বিভিন্ন স্থানে নামিয়ে দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনা গোপন রাখার জন্য বলে। তারা নিজেদের মধ্যে যোগসাজোসে ইতিপূর্বে একাধিকবার এইরকম ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে জানায়।