আভা ডেস্কঃ দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। এ কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সব গণপরিবহন, দোকানপাট, শপিংমল। লকডাউনের শুরুর দিকে যান চলাচল ও পথচারীদের গতিবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও দশম দিন শুক্রবারে (২৩ এপ্রিল) এসে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অলি-গলি ছাড়াও মূল সড়কে মানুষের গতিবিধি-চলাফেরা বাড়তে শুরু করে।
শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, মূল সড়কে মানুষের ভিড় বাড়ছে। কেউ বাজার করতে যাচ্ছেন, কেউ অফিসে যাচ্ছেন। আবার অনেকে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও পাড়ার দোকানগুলো তা মানছে না। এই সব ব্যবসায়ী লুকিয়ে লুকিয়ে দোকান খুলছেন। আর পুলিশ আসতে দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে দোকান বন্ধ করে ফেলছেন। পুলিশ চলে গেলে আবারও আগের মতো দোকান খুলে বেচাকেনা করছেন।
এদিকে, মিরপুর ১ নম্বর এলাকায় দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় রাস্তায় তুলনামূলক কম যান চলাচল করেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে তেমন কঠোন হতে দেখা যায়নি। প্রধান সড়কে রিকশা নিয়ে এলেও কোনো যাত্রীকে নামিয়ে দিতে দেখা যায়নি।
মিরপুর ১ নম্বরের চাইনিজ এলাকায় একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজিব হোসেন জানান, ‘লকডাউনের কারণে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বাসায় আছি। বাসায় থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছি। তাই জুমার নামাজের পরে একটু হাঁটাহাঁটি করছি। বন্ধুদের সঙ্গে অনেকদিন পরে দেখা হলো। তাই আড্ডা দিচ্ছি।
একই এলাকার একজন চা-দোকানদার বলেন, ‘রোজার মাস। তাই বেচাবিক্রি কম। এছাড়া, লকডাউনের কারণে তো দোকানই খুলতে পারিনি। গতকাল আর আজ একটু খুললাম। যারা রোজা রাখেন না, তারা এসে চা বা সিগারেট খাচ্ছেন। আবার অনেকে টুকটাক কিছু নিয়ে বাসায় যাচ্ছেন। বেশি সময় দোকান খোলাও রাখা যাচ্ছে না। পুলিশ এসে কিছুক্ষণ পরপর টহল দিচ্ছে।
মিরপুর ২ নম্বর এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ছুটির দিন থাকায় রাস্তায় যানবাহন অনেক কম। দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো যানবাহনকে মামলা দেওয়া হয়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ও যানবাহন বাড়ছে। যারা বের হয়েছেন, তাদের মুভমেন্ট পাস দেখেই চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে।’