নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে পল্লী বিদ্যুতের অব্যাহত ভেলকিবাজী ও মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নন্দীগ্রাম উপজেলাবাসী। বেশ কিছুদিন থেকে চলছে অতিরিক্ত লোডশেডিং। ফলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নন্দীগ্রাম উপজেলাবাসীকে। ঠিক তেমনি স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায়ও চরম বিঘ্ন ঘটছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে গড়ে ৮/১০ ঘণ্টা লোডশেডিং পোহাতে হচ্ছে নন্দীগ্রাম উপজেলাবাসীসহ বিভিন্ন গ্রামের জনসাধারণকে। বিশেষ করে রাতের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ বঞ্চিত থাকতে হয় নন্দীগ্রাম উপজেলাবাসীকে। বিভিন্ন গ্রামের গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, গ্রামাঞ্চলে ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে তার পরবর্তী ১ ঘন্টা আর খবর নেই। আকাশে মেঘ দেখা দিলে তো কোন কথাই নেই, বিদ্যুৎ মামা চলে যায় শ্বশুড় বাড়ী। নিত্যদিনের লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিক মত করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা।
পৌর শহরের উপজেলা গেট সংলগ্ন চায়ের দোকানী আবু হানিফ বলেন, আমি চা বিক্রি করি তাই প্রায় সময় পানি গরম করতে হয়, অথচ লোডশেডিংয়ের কারণে আমি ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছিনা। বাসস্ট্যান্ডে আল আমিন সুপার মার্কেটের মাহাবুবুর নামের একজন কম্পিউটার ব্যবসায়ী বলেন, দিনের বেলা অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে দোকানে ঠিকমত কাজ করতে পারছি না, আবার রাতেও খুব বিরক্ত করছে।
ভাদুম গ্রামের কয়েকজন কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা চোখে মুখে বিরক্তির রেখা টেনে বলেন, বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে আমরা ঠিকমত পড়ালেখা করতে পারছি না, আবার রাতে ঠিকমত ঘুমও হচ্ছে না। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, একদিকে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করছে তারমধ্যে আবার যেভাবে অতিরিক্ত লোডশেডিং শুরু হয়েছে, তাতে গরমে আমরা ঠিকমত ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছি না, শীঘ্রই এর সমাধান হোক এটাই আমাদের চাওয়া।