বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনও চলমান রয়েছে ৩৬টি মামলা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে এখনও চলমান রয়েছে ৩৬টি মামলা। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ বেশ কিছু মামলায় জামিনে আছেন তিনি। তবে আর মাত্র দু’টি মামলায় জামিন পেলেই কারামুক্তি মিলবে খালেদা জিয়ার।

এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাভোগ করলেও মামলাটি এখন হাইকোর্টে আপিল শুনানি অবস্থায় রয়েছে। এ মামলায় খালেদা জিয়াকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। দুর্নীতির অন্যান্য মামলার মধ্যে রয়েছে— গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলা এবং নাইকো দুর্নীতি মামলা।

এছাড়া হত্যা, নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় তিনটি, দারুস সালাম থানায় নয়টি মামলা রয়েছে। বিস্ফোরক আইনে রাজধানীর গুলশান থানায় একটি, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দুটি ও খুলনায় একটি মামলা রয়েছে।

আর মানহানি ও ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকায় দু’টি, নড়াইলে একটি মামলা রয়েছে। সোনালী ব্যাংক থেকে ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটিও ঢাকার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন সময়ে হত্যা, নাশকতা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, রাষ্ট্রদ্রোহ, মানহানিসহ মোট ৩৬টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে ১৪টি মামলার বিচার কাজ চলছে। আর বেশ কিছু মামলায় এখনও চার্জশিট দেওয়া হয়নি। অনেকগুলো মামলা আবার তদন্তাধীন রয়েছে। তবে মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকায় আমরা উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা নিয়েছি— মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় জামিনের আবেদনও করেছি। এখন শুধু কুমিল্লার দুটি মামলায় জামিন পেলেই তার কারামুক্তিতে আর কোনও বাধা থাকবে না।’

কুমিল্লায় হত্যা ও নাশকতার মামলা দুটিতে খুব শিগগিরই জামিন আবেদন করা হবে বলেও জানান খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে কুমিল্লায় দায়ের করা মামলা দুটি হলো— ২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে আট জন যাত্রী মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

এদিকে, ওই একই ঘটনায় ( ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়। তবে এ মামলা দুটিতে জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন বিলম্বিত হওয়ায় তিনি হাইকোর্টে আবেদন জানান। পরে এ বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে বিচারিক আদালতকে খালেদা জিয়ার জামিন সংক্রান্ত আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

ফলে এই দুই মামলায় জামিন পেলেই খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে আর কোনও বাধা থাকবে না বলেন মনে করেন তার আইনজীবীরা। তবে সরকার পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে যদি স্থগিত করা হয়, সেক্ষেত্রে তার কারামুক্তি বিলম্বিত হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
বাংলা ট্রিবিউন

Next Post

চামড়ার দামের চেয়ে খরচ বেশি হচ্ছে। এতে করে ব্যবসায়ীদের লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতি আগস্ট ২৩ , ২০১৮
কোরবানির পশুর চামড়ার সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কেউ কেউ বেশি দামে চামড়া কিনেছেন। তবে চামড়া দাম তেমন বলছে না ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ করছেন বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দামে চামড়া কিনছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এ তথ্য জানায় রাজশাহী জেলা […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links