আভা ডেস্কঃ করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ বাসভাড়া বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদন হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দেন।
সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই যৌক্তিকভাবে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে—রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানোর পর আদালত রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
গত সোমবার (১ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব হাইকোর্টে রিটটি করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার আবেদনের ওপর তিনি নিজেই শুনানি করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
চার যুক্তিতে করা রিট আবেদনে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে ওই প্রজ্ঞাপনটি কেন বাতিল করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা হিসেবে প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত চাওয়া হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, কেবল বাসভাড়া বাড়ানো বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও নিপীড়নমূলক। কারণ, গণপরিবহন বলতে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও বিমানকে বোঝায়। এখানে অন্য কোনো পরিবহনের ভাড়া না বাড়িয়ে কেবল বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছে, যা বৈষম্যমূলক।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এর আগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করে। সেতু মন্ত্রণালয় বাস ও মিনিবাসে ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।