আভা ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাস, এখন এটা তো বাস্তবতা। করোনার ভয়ে তো আমরা মানুষকে না খাইয়ে মারতে পারি না। তাদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থাটা আমাদের নিতে হবে। যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে লকডাউন করে তা আটকানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গা থেকে কিন্তু আমাকে ভীষণভাবে বাধা দেয়া হয়েছে, নিষেধ করা হয়েছে। বলেছে- নেত্রী আপনি যাবেন না। আমি বললাম– গুলি, বোমা, গ্রেনেড কত কিছুই তো মোকাবেলা করে এ পর্যন্ত এসেছি। আর একটা অদৃশ্য শক্তি তার ভয়ে ভীত হয়ে থাকব? এ অবস্থায় জনগণের কথা চিন্তা করেই সংসদ অধিবেশনে এসেছি।
রোববার জাতীয় সংসদে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুতে তিনি শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের হার মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই আমরা কমিয়ে এনেছি। আমাদের জিডিপি বেড়ে গিয়েছিল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছিলাম। কিন্তু এমন একটি অদৃশ্য শক্তি করোনাভাইরাস সারাবিশ্বটাকে স্থবির করে দিয়েছে। সারাবিশ্বে কেমন একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করল। আমাদের কোনো নেতাকর্মী মারা গেলেও আমরা ছুটে গেছি তার জানাজায়, কবরে ফুল দেয়া ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এখন এমনই অস্বাভাবিক পরিবেশ যে আমরা এবার সেটি করতে পারলাম না। সেটিই হলো সবচাইতে বড় কষ্টকর। একটা আতঙ্ক, ভয়ভীতি যেন সারাবিশ্বকে পেয়ে বসেছে।
করোনাকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে সরকারপ্রধান বলেন, এটি এক ধরনের যুদ্ধ। এই সময় আমাদের দুজন হারালাম, যারা সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল। তাদের হারানোটা অত্যন্ত কষ্টের। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
প্রসঙ্গত শনিবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মারা যান। নাসিম করোনায় আক্রান্ত হলেও পরে মুক্ত হন। কিন্তু আবদুল্লাহর মৃত্যু সর্বনাশা করোনায়।