বাঘা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত সাজের আলীর ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্টুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর আহতরা হলেন- ইমাজের ছেলে সাইদার, হাচানের ছেলে দুর্জয়, আহম্মদ আলীর ছেলে মেঘলাল ও আব্দুর রহমানের ছেলে বাদল। সাইদার ও বাদল বাঘা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, হরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি নওশাদ আলীসহ তার লোকজন তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করে। তারা দেশীয় অস্ত্র চাইনিচ কুড়াল, লোহার রড, হাসুয়া ও লাঠি নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে।
হরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বোর্ড কর্তৃক সদ্য অনমোদনপ্রাপ্ত এডহক কমিটির মিটিং শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। হরিরামপুর গ্রামের সোলাইমানের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছামাত্র এলাকার রোকন, মিজানুর, সোহেল, আলাল, আলাল ও আজিবার তার মোটার সাইকেলের গতিরোধ করার চেষ্টা করে। তাকে আক্রমণের বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত চলে যান। একইদিন সন্ধ্যার পর হামালা করে। সভাপতির পদ না পেয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে অভিযোগ করবেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় বাঘা হাসপাতালে কথা হলে আহত সাইদার জানান, নওশাদের হাতে ছিল হাসুয়া আর লাঠি। তার ভাতিজা আলমগীরের হাতে ছিল, চাইনিচ কুড়াল, লোহার রড। তারাসহ তাদের লোকজন এসব নিয়ে তাকেসহ অন্যদের এলোপাথাড়ি মারপিট করে।
মনিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, হামলায় জুলফিকার আলী ভুট্টুর পায়ের হাঁড় ভেঙ্গে গেছে। অন্যরাও আহত হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওশাদ আলী জানান, তাদের আক্রমন ঠেকাতে গিয়ে ঘটনা ঘটেছে। তার দাবি আগে তারাই আক্রমণের চেষ্টা করছিল।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
জুলফিকার আলী ভুট্টুর স্ত্রী নাসিমা বাদি হয়ে নওশাদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ মামলায় ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।