বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বাগমারা উপজেলার মুগাইপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ আল আসাদ ওরফে হাফিজ মাষ্টারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থদাবি সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যসূত্রে জানাযায়, ঘটনা-১ঃ ২০২১সালের মার্চ মাসের ৭ তারিখে অর্থাৎ প্রায় ছয় মাস আগে আউচপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মির্জাপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলে আঃ বারির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিক ম্যানেজের নামে অর্থ দাবি করেন হাফিজ মাষ্টার। একই এলাকার মোজাফফর ও জামালের মারফত ৫ হাজার টাকাও নেন হাফিজ। পরে আঃ বারি বুঝতে পারেন উক্ত টাকা তিনি সাংবাদিকদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।
ঘটনা – ২ঃ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অনুদান ও তত্বাবধানে মাগাইপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয় প্রায় দুই বছর আগে। যা চলমান রয়েছে। এই ভবন নির্মানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি স্থানীয় মানুষের চোখে পড়লে জনসাধারণ বাধা দেয়। যা গত ২০২১ সালের রমযান মাসের মাঝামাঝি ঘটে। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহে যায় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। এখানেও এই হাফিজ মাষ্টার সাংবাদিক সহ স্থানীয়দের ম্যানেজ করার নামে উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহকারি প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেনের নিকট থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেয়। যা সাদ্দাম হোসেনের স্বীকারোক্তি মূলক রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু তিনি কাউকেই সেই টাকা দেননি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, জমি জবরদখল সহ টাকা আত্মসাৎ এর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সকল বিষয়ের প্রেক্ষিতে ২৬ তারিখ ( সোমবার) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি উল্টো সাংবাদিকেই হুমকি দেয়। এবং চাঁদাবাজ বলে আখ্যা দেয়। যার ফোন কল রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে। পরে ঐ সাংবাদিক হাফিজ মাষ্টারের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। (জিডি নাম্বার- ১৩১০) এদিকে সাংবাদিক সমাজ হাফিজ মাষ্টারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সম্মান কুলষিত করার দায়ে একটি মানহানী মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। অপর দিকে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে হাফিজ মাষ্টারের থলের বিড়াল। এই হাফিজ মাষ্টার বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সক্রিয় ভুমিকা রেখেছেন প্রতিনিয়ত। সরকার যেখানে লকডাউন ঘোষনা করেছেন, সেখানে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রতিদিন নিজ চেম্বারে ১০-১৫ জন মানুষ নিয়ে দলীয় মিটিং করেন। যা এলাকায় খোঁজ নিলেই মিলবে সত্যতা। ২০০৭ সালে ত্রাণের টিন আত্মসাৎ করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে একাধিক পত্রিকাতে প্রকাশ হয়েছে। ২০০২ সালে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে স্কুল এমপিও করেছিলেন। কিন্তু বড়ভাই উপ-সচিব হওয়ায় সেই যাত্রায় তিনি বেঁচে যায়।
এছাড়াও তিনি তার নিজের গ্রামের আঃ সাত্তারের ১৪ শতক জমি জোরপূর্বক জবরদখল করে রেখেছেন যা সম্পুর্ণ বেআইনি। একই গ্রামের মৃত পচার স্ত্রী আলেয়া মারা যাওয়ার পর তার সন্তানরা ( মেয়েরা ) গ্রামের সমাজ উন্নয়নের জন্য ৯ শতক জমি দান করেন। কিন্তু হাফিজ মাষ্টার সমাজ কমিটির সভাপতি হওয়ায় তিনি জমিটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় এবং মৌখিক ডাক/নিলাম দেয়। নিলাম শুনে একই গ্রামের রেজাউলের ছেলে আনোয়ার পঁয়ছট্টি হাজার টাকা তৎক্ষনাৎ বায়না করে। বায়নার টাকা নিয়ে নিজের নামে জমিটি লিখে নেয় হাফিজ মাষ্টার। পরে শালিস করেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি। এই রকম অসংখ্য অপকর্মের তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে মুগাইপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ মাষ্টার এর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিষয়ে যেগুলো বললেন সেগুলো মিথ্যা। আর আমার কাছে সাংবাদিক ফোন দিয়েছিল, এরকম অনেক সাংবাদিক আজে বাজে তথ্য বলে বিভ্রান্তি করে। আপনার কাছে কোন সাংবাদিক চাঁদা চেয়েছে এমন প্রমান রয়েছে কিনা? উত্তরে বলেন যারা ছিল তারাই বলবে।
তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত
