আভা ডেস্কঃ বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কে এগিয়ে নিতে যৌথ কমিশন গঠন করা হবে।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এ বিষয়ে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বৈঠকের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে আছে একটি যৌথ কমিশন গঠন। জনশক্তি নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করব। মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে নার্স নেবে। ইতোমধ্যে অনেক চিকিৎসক সেখানে কাজ শুরু করেছেন। আমাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, মালদ্বীপ তাদের দেশে শ্রমিক, প্রবাসীসহ সবাইকে বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দেবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য মালদ্বীপকে ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, ‘কীভাবে ব্যবসা বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাহাজ চলাচল শুরু হলে যোগাযোগ বাড়বে। জলবায়ু ইস্যুর ওপরও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ বলেন, ‘আমাকে ও আমার প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এ কে আবদুল মোমেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি ধনব্যাদ জ্ঞাপন করছি। মহামারি করোনার সময় মালদ্বীপের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকে আমরা দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করব।
তিনি আরও বলেন, ‘মালদ্বীপে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের মূল অধিকারগুলো রক্ষা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যু সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে মালদ্বীপ। রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একমত। মালদ্বীপে কর্মরত অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আঞ্চলিক যোগাযোগ আমাদের আলোচনাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিউ ইয়র্কে বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু মহামারির কারণে হয়নি। আমরা আশা করছি, শিগগিরই সেই বৈঠক করে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে পারব।
এ সময় বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং মালদ্বীপের ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।