আভা ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
জ্যোতি টিকাদারের গলার সামনের অংশে কালো দাগ রয়েছে জানিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন মজুমদার।
জ্যোতির পরিবার দাবি করছে, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসআই আলমগীর জানান, দুপুর ১২টার দিকে খবর পেয়ে জ্যোতির বাসায় যান তারা। এ সময় তার পরিবার জানায়, রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় জ্যোতিকে পাওয়া যায়। তখন তাদের বাসায় শুধুমাত্র জ্যোতি ও তার স্ত্রী ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘জানতে পেরেছি, রাতে কোনো এক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে জ্যোতি তার রুমের দরজা লাগিয়ে দেন। তার স্ত্রী পাশের রুমে রাতযাপন করেন।
এর মধ্যে কারো সঙ্গে তার কথা হয়নি। রাতে আর কেউ কারো খোঁজ নেননি। ’
এসআই জানান, দুপুরেও ঘুম থেকে উঠছেন না দেখে জ্যোতির রুমের চাবি এনে দরজা খোলেন স্ত্রী। দেখতে পান সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার দেহ ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে পাশের বাসায় বসবাসরত শ্বশুরকে ফোন করেন তিনি। পরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে বঁটি দিয়ে ওড়না কেটে ছেলেকে নিচে নামান।
এসআই আলমগীর হোসেন মজুমদার জ্যোতির মৃতদেহের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘তার জিহ্বা বের করা অবস্থায় দাঁত দিয়ে চেপে ছিল। গলার সামনের অংশে কালো দাগ রয়েছে, চেহারা কিছুটা কালো হয়ে গেছে। পায়ের নিচও কালো হয়ে গেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুল খান বলেন, বিকাল ৫টার দিকে শুভ্র জ্যোতির লাশ মর্গে আনা হয়।
তিনি বলেন, শুভ্র জ্যোতি আত্মহত্যা করেছেন কিনা তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে।
কালেরকন্ঠ