নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি সম্প্রতি সাংবাদিকদের সফল সংগঠন হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। তার ফল শ্রুতিতে চট্রগ্রাম ,রংপুর ,সিলেট বিভাগের পর শুক্রবার বেলা ৪ টার সময় বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা কমিটির উদ্যোগে রাজশাহী রেলওয়ের ভিআইপি লাউঞ্ছে ১ম সমন্বয় সভা বিপুল আনন্দ, উৎসাহ, উদ্দীপনা ও দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভোরের আভা অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটির রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক,কলামিস্ট,ও বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব মীর সিরাজুল ইসলাম । বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি জনাব রমজান আলী, সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবতাব উদ্দিন জুয়েল, উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর সিনিয়ার সাংবাদিক (এটিএন বাংলা) সুজাউদ্দিন ছোটন, উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সংসদ ও সভাপতি (জাসদ) জনাব নুরুল ইসলাম হিটলার, উপস্থিত ছিলেন সিনিয়ার সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা সভাপতি বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যান সোসাইটি ও উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক এম এ হাবিব জুয়েল। উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে শ্রমিকলীগের নেতা মেহেদি হাসান, এম এ আক্তার সহ আরো অনেকেই। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের ৮ টি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি।
প্রধান অতিথি মীর সিরাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন,বাংলাদেশে গতানুগতিক সাংবাদিক সংগঠনগুলো সাংবাদিকদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিতে এবং মৌলিক বিষয় নির্ণয় করতে ব্যার্থ হওয়ায় বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি সাংবাদিকদের পাশে এসে দাড়িয়েছে বলে জানান।
তিনি আরো বলেন,বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় প্রদান করতে হবে। গণমাধ্যমই হচ্ছে জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানোর আধুনিকতম পদ্ধতি। একটি জনগোষ্ঠীর জীবনধারা কোন দিকে ধাবিত হবে, মানুষ কী চিন্তা করবে, কী খাবে, কী পরবে সেটিও বর্তমান যুগে গণমাধ্যমের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই জাতির উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের এ অবস্থানের কারণে তারা যেমন জাতির কাছে দায়বদ্ধ, তেমনি নিজের বিবেক এবং স্রষ্টার নিকটও দায়বদ্ধ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি, তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকদের নিয়ে যে পথ চলা তা খুব ভাল একটি উদ্যোগ। তিনি এই কমিটির সকলকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পরামর্ণ দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। তৃণমুল পর্যায় থেকে শুরু করে সব সামাজিক গনমাধ্যম কর্মীদের সরকার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেছে, তাদের নির্যাতনের ব্যপারটি সরকার গুরুত্বের সাথে দেখছে, যা অন্য কোন সরকারে আমলে ছিল। সর্বপরি তিনি বলেন একটি কথাই বলতে চাই, সাংবাদিক হবে সত্যের পথিক, আপসহীন একজন কলম সৈনিক।
এসময় উক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে ১ম বারের মত রাজশাহীতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে সামাজিক ভাল কাজের সন্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করা হয় ।
এছাড়াও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ তার সুচনা বক্তব্যে জানান সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে, রাজশাহীর সিনিয়ার সাংবাদিক সুজা উদ্দিন ছোটন, বীরমুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক আবতাব উদ্দিন জুয়েল সহ পুলিশ প্রশাসনের কিছু সৎ নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী সদস্যকে। এই সম্মাননা টি শুধু মাত্র ভাল কাজে উৎসাহ প্রদান ছাড়া কিছুই না। ভাল কাছে উৎসাহ দিলে মানুষ আরো বেশি উৎসাহিত হয়ে আরো বেশি ভাল কাজ করে। এটি মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকদের দেওয়ার তথ্যের বিচার করে সংগঠন টি এই আয়োজন করেন। তিনি আরো বলেন সংগঠনের পক্ষে এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস, যাতে কর্মঠ ব্যক্তিবর্গ উৎসাহি হয়।
সার্বিক ত্বত্তাবধায়নে ছিলেন এম এ হাবিব জুয়েল। তিনি সর্বশেষ বক্তব্য দিয়ে বলেন, আমরা সংবাদ কর্মীরা আজ নির্যাতিত, ও বঞ্চিত। আর এই নির্যাতন ও বঞ্চনার স্বীকার হওয়ার মুল কারন কিন্তু আমরা নিজেরাই। আজ আমাদের শত্রু ভাবে কিন্তু আমাদেরই জাতি ভাই। এখানেই আমাদের বড় দুর্বলতা, যার সুযোগ নিচ্ছেন অনেকেই। তাই আজ থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই যাতে আগামীতে কেউ আমাদের দিকে আংগুল তুলে না তাকাতে পারে। কেউ যদি কোন জেলায় নিযার্তিত হয়, তাহলে প্রতিটি জেলায় প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। শুধু প্রতিবাদ করে ঘরে বসে থাকলে হবে না, প্রয়োজনে ঐক্য বদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। কেউ যদি কোন সাংবাদিক ভাইয়ের নামে একটি হয়রানি মুলক মামলা করে, তাহলে প্রতিটি জেলা কমিটির দ্বায়িত্ব হবে, সেই মামলাকারী নামে প্রতিটি জেলায় একটি করে মামলা দেওয়া। “সাংবাদিকতা হোক বুস্তুনিষ্ঠ, সাংবাদিক হোক নিযার্তন মুক্ত” উক্তি মাধ্যমে সভা শেষ করেন তিনি।