আভা ডেস্কঃ বাংলাদেশের পর্যটন খাতে সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও তাদের স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুলাইহানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করলে তার জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
তিনি আরো বলেন, সৌদি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে একত্রে কাজ করাটা হবে আনন্দের। একই সঙ্গে আমরা এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নেও একত্রে কাজ করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
কোভিড-১৯ মহামারির এই সময়ে সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দিকে খেয়াল রাখায় সৌদি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী। বর্তমানে বিশেষ ব্যবস্থায় বিমান সৌদি আরবে ফ্লাইট পরিচালনা করছে জানিয়ে বিমানের শিডিউল ফ্লাইট পরিচালানার অনুমোদন ও কোভিড-১৯ এর কারণে সৌদি আরবে ফেরত যেতে না পারা ও নতুন ভিসাপ্রাপ্ত ৮৬ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর দ্রুত ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর ও শক্তিশালী। আমরা সবসময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব দিই। এজন্যই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তা বন্ধ হয়নি। শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন শুরু হলে বাংলাদেশ বিমান প্রথমেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা পাবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কর্মীরা দক্ষ ও কর্মনিষ্ঠ। তাদের কাজের দক্ষতায় নিয়োগদাতারা সন্তুষ্ট। ফেরত যেতে না পারা ও নতুন ভিসাপ্রাপ্তদের সৌদি আরবে নিয়ে যেতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সৌদি আরবে কর্মরত প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সৌদি বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহী। এছাড়াও এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।