বরগুনা সদরে রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আভা ডেস্কঃ বরগুনা সদরে রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হুমায়ুন কবির।

গ্রেফতার যুবকের নাম আরিয়ান শ্রাবন। আরিয়ান শ্রাবন বরগুনা শহরের গোলাম সরোয়ার সড়কের ইউনুস সোহাগের ছেলে। তদন্তের স্বার্থে শ্রাবনকে কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানায়নি পুলিশ।

বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরিয়ান শ্রাবনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ তাকে আদালতে তোলা হতে পারে।’

এ নিয়ে এ মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে ২ জুলাই ভোর রাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিন জনসহ ছয় জন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি চার জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।

২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিবার জানায়, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যায় অংশ নেয় নয়ন বন্ডসহ ৪-৫ জন। রিফাতের সঙ্গে দুই মাস আগে পুলিশলাইন সড়কের আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিয়ে হয়। বিয়ের পর নয়ন মিন্নিকে তার প্রেমিকা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিতে থাকেন।

রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, নয়ন প্রতিনিয়ত আমার পুত্রবধূকে উত্ত্যক্ত করত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিত। এর প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে নয়ন তার দলবল নিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

যুগান্তর

Next Post

রাবি দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় মুখে কালো কাপড় বেধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

সোম জুলাই ৮ , ২০১৯
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় মুখে কালো কাপড় বেধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশের পাদদেশে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করেন। দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা দুই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links