নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও বন্দুক যুদ্ধে ১০ মামলার আসামী মাদক সম্রাট জিয়ারুল ইসলাম কালু নিহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার কেশবপুর এলাকার একটি আম বাগানে এই ঘটনা ঘটে। নিহত জিয়ারুল ইসলাম কালু উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শকসহ মোট ৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নূরে আলম।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত ২.৩০ মিনিটের সময় বাঘা সীমান্ত এলাকার কেশবপুর গ্রামের একটি আম বাগানে অভান্তরিন ঘটনাকে কেন্দ্র করে চোরাকারবারিদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বাধে। এ খবর পেয়ে সেখানে রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স-সহ উপস্থিত হয় আমি এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমান ও বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ মহসীন আলী।
চোরাকারবারিরা সেখান থেকে পালিয়ে গেলে উক্ত আম বাগানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিয়ারুল ইসলাম ওরুপে কালু (৩৯) এর লাশ, এক বস্তা ফেন্সিডিল, একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কালুর নামে বাঘা ও চারঘাট থানায় একটি অস্ত্র মামলা সহ মোট ১০ টি চোরাচালান মামলা রয়েছে বলেও নিশ্চিত করে পুলিশ।
বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা: আক্তারুজ্জামান জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে জিয়ারুল ইসলামের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এছাড়াও আহত ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরপর নিহত কালুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে নিয়েছে পুলিশ।
বাঘা থানা অফিসার ইনচাজ(ওসি)মহসীন আলী জানান, চোরাকারবারিদের দুই গ্রুপের মধ্যে (সংঘর্ষ) বন্দুকযুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তাদের ছোড়া ইট-পাটকেল ও গুলিতে আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, সহকারী পুলিশ সুপার নূরে আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমান, বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ মহসীন আলী নিজে, জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) উৎপল কুমার, এস. আই উসমান গনি এবং বাঘা থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম এবং বাঘা থানার দু’জন কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম ও মাহাফুজুল আলম।
এল/টি