বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেনছা মুজিব’ পদক প্রদান

আভা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য জাতির পিতার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেনছা মুজিব’ পদক প্রদান করেছেন।

রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, সমাজসেবা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণা, কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য এ বছর পাঁচজন বাংলাদেশি নারীকে এই পদক প্রদান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। তাঁর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা বিজয়ীদের হাতে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ পদক তুলে দেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম স্বাগত ভাষণ দেন।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন। এছাড়া, পদক বিজয়ীদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

এই প্রথমবারের মত প্রবর্তিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ পদকটি নারীদের জন্য ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে। পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৪০ গ্রাম ওজনের একটি পদক, ৪ লাখ টাকার চেক, সার্টিফিকেট এবং উত্তরীয় প্রদান করা হয়।

পদক বিজয়ীরা হচ্ছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগম (মরনোত্তর), জয়াপতি (মরনোত্তর), মোসাম্মাৎ নুরুন্নাহার বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল এবং নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ)।

নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে  বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে দেশের সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের তালিকা অনুযায়ী ৬৪ জেলার ৪ হাজার অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২ হাজার নারীকে ২ হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ নগদ টাকা ও সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রমও অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও চিত্রও পরিবেশিত হয়।

১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মহীয়সী নারী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি ৩ বছর বয়সে পিতা এবং ৫ বছর বয়সে মাতাকে হারিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর পিতা-মাতার কাছে লালিত-পালিত হন এবং চাচাত ভাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে তার দাদা তাকে বিয়ে দেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আমৃত্যু স্বামীর পাশে থেকে একজন যোগ্য ও বিশ্বস্থ সহচর হিসেবে দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।

Next Post

রাসিকের ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনার টিকাদান ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত

রবি আগস্ট ৮ , ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ব্যবস্থাপনায় মহানগরীতে গণটিকাদানের ২য় দিন আজ রবিবার (৮ আগস্ট) ৪৪ হাজার ৪৮৮জনকে করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ৮৪টি কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ৬৬৪জনকে প্রথম ডোজ মর্ডানার টিকা প্রদান করা হয়। টিকা না থাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকাদান ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। […]
রাসিকের

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links