প্রি-পেইড বৈদ্যুতিক মিটার বসানোর কাজে রাজশাহী বাসীর বাধাঁ।

আভা ডেস্কঃ রাজশাহী অঞ্চলে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) প্রি-পেইড বৈদ্যুতিক মিটার বসানোর কাজ শুরু করেছে।  রাজশাহী মহানগরীতে ইতোমধ্যে এই মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে এসব মিটার নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ বাড়ছে। তারপরও প্রি-পেইড মিটার বসানোর কাজ চলছে ঠিকাদারের মাধ্যমে।এসব মিটারের কারণে এখন গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের আগেই কার্ডে টাকা রিচার্জ করতে হবে।

গতকাল শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় ঠিকাদারের লোকজন বাসাবাড়িতে প্রি-পেইড মিটার লাগানোর কাজ শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা এর বিরোধীতা করেন। এরপর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারও সেখানে এসে এর বিরোধীতা করেন। তিনি ঠিকাদারের কর্মীদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন।

একইসঙ্গে যে ক’টি বাড়িতে প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছিল সেগুলোও খুলে নিতে বাধ্য করা হয়। এ সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইপিসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশিকুল হক এই মিটারের উপকারিতা বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশিকুল হক বলেন, তারা শহরে প্রায় আড়াই হাজার বাড়িতে প্রি-পেইড মিটার বসিয়েছেন। কুমারপাড়া এলাকায় এসে তারা বাধার সম্মুখিন হলেন। বিষয়টি তিনি কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। নেসকোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধান করবেন। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, প্রি-পেইড মিটারে যদি আমার রাত ১২টায় টাকা শেষ হয়ে যায়, তাহলে কি আমি অন্ধকারে থাকব? মোবাইলে যেমন কখন কয়টাকা কাটে তার ঠিক নাই, সেরকমই প্রি-পেইড মিটারে কখন কি হবে তার ঠিক নাই। আমাদের এই নিশ্চয়তা কে দেবে? আগে আমাদের বোঝাতে হবে, নিশ্চয়তা দিতে হবে, তারপর মিটার লাগাতে হবে।

গত বছরের ৮ অক্টোবর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রাজশাহী, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ৫ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। ২৮ অক্টোবর এই মিটারের প্রথম বিরোধিতা করে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। সংগঠনটি প্রি-পেইড মিটার বাতিল করার দাবি জানিয়ে বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে একটি স্মারকলিপিও দেয়।

সংগঠনের সদস্যরা বলছেন, গ্রাহক ভোগান্তি বাড়াতে প্রি-পেইড মিটার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে নেসকোর রাজশাহীর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন বলেন, ভোগান্তি নয়, এতে গ্রাহকেরই সুবিধা হবে। তিনি বলেন, একটা নতুন কিছু এলে সেক্ষেত্রে বিরোধিতা হতেই পারে। আমরা একটা গণশুনানি বা সেমিনার আয়োজন করে মানুষকে বোঝাব। তাহলে তারা নিশ্চয় বুঝবেন। সুত্রঃ সোনালী সংবাদ

Next Post

পুঠিয়া থানার সাবেক ওসি সাকিলের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা।

রবি জানু. ২৪ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ এজাহার পরিবর্তনের অভিযোগে পুঠিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দীন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল-আমিন বাদি হয়ে এই মামলা দায়েরন করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে- নূরুল ইসলাম রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার সড়ক […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links