প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনের প্রতি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন

আভা ডেস্ক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনের প্রতি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, চলতি বছরের শেষদিকে একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে কমিশন। বৃহস্পতিবার জার্মানির পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিলস অ্যানেন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সবার সমর্থন ও সহযোগিতায় একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আগামীর নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার বিভিন্ন খাত নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। ইতিমধ্যে কমিশন সারা দেশের জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার পর্যায়ের ৬ হাজারেরও বেশি নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। এসব নির্বাচনে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এসব নির্বাচনে কখনও আমরা এবং কখনও তারা (বিরোধী দল) জয়ী হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনে আমাদের দলের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সামরিক শাসনে ক্রমাগত ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছে আমাদের দল। সামরিক শাসনে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছিল।’

অনুষ্ঠানে জার্মানির মন্ত্রী জানান, এটাই তার বাংলাদেশে প্রথম সফর। আকাশপথে ভ্রমণের সময় এ দেশের সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

জার্মানির মন্ত্রী, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উন্নয়ন এবং এটি বাস্তবায়নে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় জার্মান কোম্পানির মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন জার্মান মন্ত্রী। কারিগরি শিক্ষায় জার্মানির দীর্ঘ ঐতিহ্য থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিময়ের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। কিন্তু সংখ্যায় তারা স্থানীয় জনগণকেও ছাপিয়ে গেছে এবং তাদের শনাক্তকরণের জন্য রেজিস্ট্রেশনের পর পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রত্যাশী।’

জার্মানি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে নিলস অ্যানেন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী তার জার্মানি সফরের কথা স্মরণ করে দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. টমাস প্রিন্জ উপস্থিত ছিলেন।
যুগান্তর

Next Post

:হজযাত্রীদের নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ফায়দা লুটতেই ২০ শতাংশ রিপ্লেসমেন্টে অনড় হজ এজেন্সিগুলো।

শুক্র জুলাই ২০ , ২০১৮
আভা ডেস্ক :হজযাত্রীদের নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ফায়দা লুটতেই ২০ শতাংশ রিপ্লেসমেন্টে অনড় হজ এজেন্সিগুলো। অনেক হজ এজেন্সি দীর্ঘ সময় আগে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে হজ-নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করে। শেষ পর্যন্ত অনেক নিবন্ধিত হজযাত্রীর হজে যাওয়া না হওয়ার তাদের বিপরীতে নতুন হজযাত্রী যুক্ত করতে ২০ শতাংশ রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ চাইছেন সংশ্লিষ্ট […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links