আভা ডেস্কঃ প্রথম ইনিংসে নজরকাড়া সেঞ্চুরি। আর দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য। শ্রীলঙ্কায় নিজের অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরির ম্যাচটি এমনভাবেই সাজালেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও শূন্যর পঞ্চম ঘটনা এটি। এর আগে জাভেদ ওমর, মোহাম্মদ আশরাফুল, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটি রয়েছে।
টানা ব্যর্থতায় শান্ত ছিলেন প্রবল চাপে। সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন না উঠলেও বড় মঞ্চের জন্য তিনি আদর্শ কি না তা নিয়ে ছিল আলোচনা। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা অথচ আন্তর্জাতিক মঞ্চে একেবারেই হতশ্রী পারফরম্যান্স। শেষমেশ ব্যর্থতার শেকল ভেঙে ক্যান্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে শান্ত ফেরেন রানে। ১৬৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে সেই পুরো চিত্র। পেসার সুরঙ্গা লাকমালের বলে বোল্ড হয়ে শান্ত সাজঘরে ফিরলেন শূন্য রানে।
একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও শূন্যর পঞ্চম ঘটনা এটি। অনাকাঙ্ক্ষিত এ রেকর্ডে সবার আগে নাম লিখিয়েছিলেন জাভেদ ওমর বেলিম। ২০০৩ সালে পেশোয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১১৯ রান করেছিলেন। পরের ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি। চার বছর পর ২০০৭ সালে আশরাফুল ঘটনা এমন ঘটনা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে প্রথম ইনিংসে আউট হন শূন্য রানে। পরের ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ১২৯ রান।
ঘরের মাঠে ২০১০ সালে তামিমের এমন তিক্ত অভিজ্ঘতা হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে। বাঁহাতি ওপেনার প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১৫১ রান। এ তালিকায় একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসান। ২০১৭ সালে সাকিব ওয়েলিংটনে ২১৭ রান করেছিলেন। পরের ইনিংসে সাকিবের ব্যাট হাসেনি। শূন্য রানে ফেরেন সাজঘরে।
১৮৮০ সালে ইতিহাসের ৪ নম্বর টেস্টে সবার প্রথম এমন কিছুর স্বাদ পেয়েছিলেন বিলি মারডচ। অস্ট্রেলিয়ার এ ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে শূন্য করেছিলেন। পরের ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ১৫৩ রানে। এ তালিকায় আরও অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারের নামও আছে। স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান, হানিফ মোহাম্মদ, স্যার গ্যারি সোবার্স, সুনীল গাভাস্কার, স্যারি ভিভিয়ান রিচার্ডস। আবার এ শতাব্দীর রিকি পন্টিং, কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, ইউনিস খান, জ্যাক ক্যালিসরাও রয়েছেন।