আভা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের লিগ পর্ব প্রায় শেষ দিকে, সাকিব এখনো ছন্দে ফেরার অপেক্ষায়। বোলিংয়ে হাত ঘুরিয়ে খানিকটা আলো ছড়িয়েছেন। কিন্তু ব্যাটিংয়ে একেবারেই অন্ধকারে। অথচ নিষেধাজ্ঞার আগে সাকিবের ব্যাটে ছিল রানের ফোয়ারা। ২২ গজে নামলেই ধ্রুপদী তার একেকটি ইনিংস।
ফিরে এসে দেখছেন মুদ্রোর উল্টো পিঠ। ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’ এ শুরুর আগে প্রস্তুতিতে খুব একটা ঘাটতি রাখেননি সাকিব। তবুও ব্যাটিংয়ে ছন্দে খুঁজে পেতে কষ্টই হচ্ছে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের।
সাকিবের থেকে বড় কিছুর অপেক্ষায় ভক্তরা। শুধু ভক্ত বললেও ভুল হবে, সাকিবের দল, বিসিবির পরিচালক, কর্মকর্তারাও সাকিবের ব্যাটে রান দেখার অপেক্ষায়। অপেক্ষায় সাকিব আল হাসানও। চেষ্টা চাচ্ছেন দ্রুত ছন্দে ফেরার। তবে কবে ফিরবেন সেই নিশ্চয়তা দেননি। আশায় রেখে বললেন, ‘জানি না (হাসি)। দেখি কত দ্রুত কামব্যাক করা যায়। চেষ্টা থাকবে যেন ভালো করতে পারি। বাকিটা দেখা যাক।
রানে ফিরতে কখনো নামছেন ওপেনিংয়ে, কখনো প্রিয় তিনে, কখনো আবার চার নম্বরে। বারবার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেও সাকিব আল হাসান কিছুতেই রানের দেখা পাচ্ছেন না। ৮ ম্যাচে ১০.২৫ গড়ে রান করেছেন মাত্র ৮২। যা সাকিবের নামের পাশে বড্ড বেমানান। দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসার কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা না পাওয়ার মূল্য দিতে হচ্ছে জেমকন খুলনাকে।
তারকাসমৃদ্ধ দল হয়েও হেরেছে তারা চারটি ম্যাচ। নিজের সঙ্গে দলকেও ছন্দে ফেরাতে আশাবাদী সাকিব, ‘টি-টোয়েন্টি যেহেতু মোমেন্টামের খেলা তিন দিনে একটা প্রভাব পড়তেই পারে। আমরা আবার রি-গ্রুপ করে নতুন করে শুরুর চেষ্টা করব। যেহেতু একটা ম্যাচের ব্যাপার, আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে ভালো ফল সম্ভব।
লিগ পর্ব ভালো যায়নি। নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে ভুগেছেন সাকিব। আউট হওয়ার ধরণগুলোও ছিল বাজে। কে জানে বড় ম্যাচের জন্যেই হয়তো ব্যাটে ধার দিয়ে রেখেছেন। সামনেই হয়তো সাকিবের আলোয় উদ্ভাসিত হবে খুলনা। সেজন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন সাকিব, খুলনা, সবাই।