নিজিস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে সোমবার এক শালিশ বৈঠকে আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার হোসেনের তোপের মুখে পড়েছেন পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি। পৌর মেয়েরর স্বাক্ষর জাল করে ফুফুর পক্ষে ওয়ারিশান সার্টিফিকেট তৈরী করায় তাঁকে তোপের মুখে পড়তে হয়।
স্থানীয়রা জানান, আড়ানী পৌর এলাকার রুস্তমপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের সাথে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে হাজেরা ও হারেজানের। তারা আড়ানী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতির ফুফু। বিরোধ চলাকালে ফুফুর পক্ষে গত বছর ১২ শতাংশ জমি-সহ বাগানের আম দখল করেন মতিউর রহমান মতি।
তবে এবার বাগানসহ ওই জমি দখলে নিয়ে চারদিন আগে আম পেড়ে নেয় ফারুকের পক্ষের লোকজন। তবে মতিউর রহমানের দুই ফুফুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই আম জব্দ করে। পরে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে আম বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা জমা রাখা হয় বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এর কাছে। এই টাকা কাকে দেয়া হবে তা নিয়ে সোমবার (১০ জুন) সকালে বাঘা থানার ওসির কক্ষে শালিস বসে। সেখানে ওয়ারিশান সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়া হলে যে সার্টিফিকেট দেখানো হয়, সেখানে নিজের স্বাক্ষর জাল বলে দাবি করেন আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলী। এ নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতির সাথে তুমুল বাক-বিতন্ডা হয় তার।
বৈঠকে উপস্থিত বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান শহিদ, পৌর কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক রাজ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টুসহ আরো কয়েকজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট জাল না সঠিক এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে মেয়র আমাকে জাল সনদ তৈরি সন্দেহে বেশ কিছু কথা শুনিয়েছেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহাসিন আলী বলেন, দুই পক্ষকে নিয়ে শালিস বসেছিল। তবে এতে সমাধান হয়নি। মেয়রের স্বাক্ষর জাল নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে শালিস স্থগিত রেখে উভয়পক্ষের কাগজ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন এলে তবেই সমাধান করা হবে।