পাবনা প্রতিনিধিঃ পুলিশের আন্তরিকতায় হারিয়ে যাওয়ার পনেরো দিনের মাথায় চমন প্রামাণিক নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণকে ফিরে পেলেন স্বজনরা। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার দুপুরে ওই তরুণকে পরিবারের হাতে তুলে দেয় চাটমোহর থানা পুলিশ। সন্তানকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মা চম্পা খাতুন। এ সময় পুরো থানা চত্বরে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামাড়া উপজেলার বাহিরচর গ্রামের আলম প্রামাণিকের ছেলে চমন প্রামাণিক জন্ম থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। সম্প্রতি তাকে চিকিৎসার জন্য পাবনার সিংগা এলাকায় মানবকল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসারত অবস্থায় গত পনেরো দিন আগে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই তরুণ। এরপর তাকে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে জানানো হয় স্বজনদের। সন্তান হারানোর কথা শুনে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েন মা চম্পা বেগম।
এদিকে শনিবার বিকালে চাটমোহর পৌরসভার সামনে বসে চমনকে কান্নারত অবস্থায় দেখে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মী বিশু প্রামাণিক থানা পুলিশের জিম্মায় দেয়। পরে চমনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ যোগাযোগ করে তার পরিবারের সাথে। রোববার সকালে চমনের মা চম্পা বেগম, ভাই তমাল থানায় এলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানোর পর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে চমনকে তাদের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে পেয়ে আবেগাপ্লুত চম্পা বেগম পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। পুলিশের আন্তরিকতার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, সন্তান হারানো কতটা কষ্টকর সেটা একজন মা সবচেয়ে বেশি বোঝেন। চমন প্রামাণিক কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার তাকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।