আভা ডেস্কঃ আইজিপি ড. বেনজির আহমেদের নামে ইমেইল, ট্রুকলার এবং হোয়াটসঅ্যাপ খুলে বিত্তশালী ও বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে ফোন দিতো প্রতারক। কারো কাছে চাইতেন টাকা, কাউকে চাকরির সুপারিশ করা হতো। মো. আরিফ মাইনুদ্দিন নামে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) মালিবাগের সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর জিগাতলা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একটি বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আইজিপির ছবি ও পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন দপ্তর, বাণিজ্যিক ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোন করে নিজেকে আইজিপি হিসেবে পরিচয় দিতেন। এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে আরিফ বাংলালিংকের একটি সিম কার্ড ব্যবহার করতেন।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, আরিফ তার কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিম কেনেন। সম্প্রতি আইজিপি অফিস থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। আরিফ বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে ফোন দিয়ে চাকরির সুপারিশ করতেন ও টাকা চাইতেন। তবে এ পর্যন্ত কারো কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেননি তিনি।
আরিফ বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সে মাস্টার্স করেছেন। তিনি ঢাকা ব্যাংকে চাকরি করতেন। সেখানে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চাকরিচ্যুত হন। সবশেষ গত ২৬ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকের হেড অফিসের হটলাইন নম্বরে এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস নামের সংগঠনে ফোন করেন। এর পর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ফোন দিয়ে ড. বেনজির আহমেদের নাম বলে অনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কথা বলে ভয়-ভীতি দেখান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, রাজধানীর হাজারীবাগে ম্যারেজ ডটকম নামে একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি ঘটকালির ব্যবসা করতেন। এরই মাঝে বেছে নেন এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড।