আভা ডেস্কঃ ঢাকাই চলচ্চিত্রের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এক সময় দেশের সিনেমা চলতো নির্মাতাদের নামের কল্যাণে। পরিচালকের নাম শুনেই প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ছুটে গিয়েছেন।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ এখন শিল্পীদের নাম শুনে প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে দর্শক। অন্যদিকে দিনে দিনে পরিচালকদের সম্মান তলানিতে ঠেকেছে। পরিচালককে শিল্পীদের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে। এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন দেশীয় চলচ্চিত্রের সিনিয়র শিল্পীরা।
পরিচালকদের সম্মানবোধ অনেকটাই লোপ পেয়েছে। এমন কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন দাপুটে অভিনেতা সাদেক বাচ্চু। তিনি আক্ষেপ করে গন্যমাধ্যমকে বলেন, পরিচালকের যে মেধা, স্বাধীনতা এটা এখন প্রায় উঠে গেছে। বর্তমান সময়ে অনেক মেধাসম্পন্ন নির্মাতা আসেন। তাদের প্রথমই একটা বলিউড, তামিল তেলেগু ধরিয়ে দিয়ে নকল করতে বলা হয়। আমি মনে করে এসব নির্মাতাদের মৌলিক সিনেমা করতে বলা উচিত। এদের স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেয়া উচিত। তবেই এ দেশে আবার ভালো নির্মাতা তৈরি হবে, ভালো সিনেমা নির্মিত হবে।’
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের পরিচালকদের কথা মনে করলে কান্নায় বুক ফেটে যায়। এখন পরিচালকদের সম্মানের আসনে খুব একটা দেখা যায় না। একটা সময় পরিচালক সেটে প্রবেশ করলেই শিল্পীরা সম্মানে মাথা নিচু করে থাকতো। খান আতাউর রহমান মেকআপ রুমে ঢুকলে মনে হতো যে, রাজ্জাক ভাইকে কারেন্ট শক করেছে। সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়েছেন। এখন মেকআপ রুমে ঢুকেই দেখবেন হিরো-হিরোইনরা পা তুলে চেয়ারে বসে আছেন।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ দাপুটে অভিনেতা ১৯৮৫ সালে শহীদুল আমিন পরিচালিত ‘রামের সুমতি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। এর পরে প্রায় ৪০০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সাদেক বাচ্চু। অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে দর্শক নন্দিত হয়েছেন। মঞ্চ, টেলিভিশনেও অভিনয় করছেন। এখনো মঞ্চে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দেশের খ্যাতিমান নির্মাতা ও শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগও হয়েছে তার।