আব্দুর রাজ্জাক: রাজশাহী জেলার পবা সার রেজিস্টার অফিসের দুর্নীতি যেন ডাল-ভাতে পরিনত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সাধারন দলিল প্রতি সরকারী নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না, করে যার কাছে যেমন খুশি, যত খুশি টাকা নিয়ে দলিল রেজিস্ট্রারি করেন। বিশ্বাস্থ একটি সুত্র প্রতিবেদকে বলেন, পেশকার সেলিন প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রারি বাবদ ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা নেন। পরে সেই টাকা জেলা সাব রেজিস্ট্রার থেকে পিয়ন পযর্ন্ত ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। সুত্রটি আরো জানান, প্রতিমাসে প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে আদায় করেন পেশকার, যা মাস শেষে ভাগ হয়। এছাড়াও পেশকারে ছেলে নাইম নকল তোলার দ্বায়িত্বে থাকায়, যার কাছে যেমন খুশি টাকা আদায় করেন, বলে অভিযোগ পবা এলাকার মাসুম নামে এক কৃষক। প্রকৃতপক্ষে সে একজন নকলনবিস প্রশিক্ষনার্থী, কিন্তু সে তার বাবা সেলিমের কাজের সুবাদে অফিসের সকল কাছে মাথা ঘামায়। অফিসে অবৈধভভাবে অর্থ আদায়ের কাজগুলো করেন নাইম। নকল তোলার সরকারী রেট ৪০০ টাকা আর সাধারন জনতার কাছে নেওয়া হয় ১০০০ টাকা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী ময়েনের।
প্রতিবেদক পবা সাব রেজিস্ট্রার রাশিদা ইয়াসমিন মিলি সাথে স্বাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য ফোন দিলে প্রতিবেদকে প্রলোভিত করেন অসাধুভাবে নিজেকে ভাল একজন মানুষ হিসাবে জাহির করতে। বার বার প্রতিবেদকে স্বাক্ষাতের জন্য দেখা করতে বলেন অন্যথায় বক্তব্য দেওয়া যাবে না। প্রতিবেদক জিজ্ঞাসা করেন অনিয়ম দূর্নীতি বিষয়ে। কিন্তু তিনি স্বাক্ষাৎকারের নামে ফোনে দারুন একটি অভিনয়ে ফোন কেটে দেন। পরে সাব রেজিস্ট্রার মিলি বিভিন্ন জনকে দিয়ে ফোন করিয়ে প্রতিবেদকে হুমকি দেওয়ান। (১ম পর্ব)
রাজশাহী জেলা সাব রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি অসুস্থ, তবে তিনি যদি এরুপ করে থাকেন তাহলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২য় পর্বে থাকছে আরো অধিক তথ্য বহুল বিশেষ প্রতিবেদন। প্রতিবেদন দেখতে আমাদের সাথেই থাকুন।
অডিও এবং ভিডিও সংরক্ষিত