পঞ্চাশ হাজার টাকায় মাদক ব্যাবসায়ীকে ছেড়ে দিলো চারঘাট থানা পুলিশ। অডিও রেকর্ড সংযুক্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি :গাছ লাগিয়েছেন এ এস আই জুবায়ের, তাইতো ফল খাচ্ছেন, গাছ নষ্ট করছেন না। মাদক ব্যাবসায়ী ধরতে না চাইলেও, নিত্যনতুন বকরা ফাঁসাতে পটু যিনি তিনি অনেক গুনের অধিকারী, তার অপকর্মগুলোন একটু ভিন্ন ধাঁচের। কোথায় আছে আমি যদি স্বীকার না করি, তাহলে যা সামনে নিয়ে আসবে তাই মিথ্যা বলে চালিয়ে দিলে কেমন হয়। এমন চিন্তাধারার মানুষটি হচ্ছেন এ এস আই জুবায়ের। গত ২৯ ই সেপ্টেম্বর রাত ৯ টা ফোন দেওয়া হয় এ এস আই জুবায়েরের নম্বরে, কথা জিজ্ঞাসার আগে নিজেকে একটু কৌশল অবলম্বন করে নিজে সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে একই থানার একজন এ এস আই আত্নীয় পরিচয় কথা বললে সহজেই কাছে আসেন এ এস আই ও আহসান নাম আর একজন। কথার ফাঁকে সকল কথা রেকর্ড করতে থাকলে, আসল ঘটনা বেরকরতে বেশ বেগ পেতে হল। সংবাদ প্রকাশ করতে না চাওয়া শর্তে অর্থের বিনিময় করতে চাইলে রাজি থাকলেও, কৌশলে প্রতিবেদক বলেন অপরাধ যখন করেনি তখন এত টাকা দেওয়ার দরকার নেই, বরঞ্চ সংবাদ প্রকাশ হলে কোনো সমস্যা নেই, তদন্তে সত্যটা বের হয়ে আসবে তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। এমন প্রশ্নে এ এস আই জুবায়ের বলেন না, সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না, কারণ হিসাবে তিনি জানান মান সম্মান চলে যাবে তাই এটা প্রকাশে আসলে সমস্যা। কোথায় আছে চোরের মন পুলিশ পুলিশ তাই সেই ভয় পাচ্ছে, যদি এমন ঘটনা না ঘটতো তাহলে সে বুক ফুলিয়ে বলতে পারতেন আমি এই অপরাধটি করিনি এতএব সংবাদ প্রকাশ করলে আমার কিছু যায় না। এদিকে প্রতিবেদক কে ফাঁসাতেও চারঘাট এলাকার দুজন সাংবাদিকেও তারা ডেকে রেখেছিলো যারা যোগসাজসে তাদের অপকর্মের সাথে সব সময় কাজ করে থাকেন। তাদের মূল ভিউ ছিল মূলত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী প্রতি হেয় প্রতিপন্ন করে লক্ষ। যদিও চতুরতার সাথে সেখান থেকে মূল বিষয়ে তাদের ভিউ উঠে আসে যে তারা অপরাধী আর অপরাধ ঢাকতেই সাংবাদিক ম্যানেজ করতে আসেন। মূল ঘটনা হচ্ছে ১১ টি, দুই দিনের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে চারঘাট এলাকায় কখন কিভাবে কাকে কত টাকার বিনিময়ে ছেড়েছেন। ১১ টি ঘটনার প্রত্যক্ষদশীদের কথা রেকর্ড করা হয় কিভাবে তাদের হয়েছিল আর কত টাকায় তারা ছাড় পেয়েছিলো। এই অভিযোগ গুলোর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন চারঘাট থানার বিভিন্ন ভুক্তভোগী ও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক সময় বিনা কারণে চারঘাট থানার এএসআই ইবনে জুবায়ের অনেককেই রাস্তা থেকে আটক করে থানায় নেন। পরবর্তীতে তাদের মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে সোর্সের মাধ্যমে দাবি করেন টাকাও। যাঁরা চাহিদামতো টাকা দিতে পারছেন না তাঁদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। দাবি মতো টাকা না পেলেই এএসআই ইবনে জুবায়ের মাদকসেবী কিংবা মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে মামলা দেন । তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অনেকেই হয়রানির ভয়ে নাম প্রকাশ করতে চাননি।
ঘটনা ১। ২৮ তারিখ রাতের বেলায় চেকপোস্ট করার নাম চরমুক্তারপুর এলাকায় তুষারের বোন তানজিমা কে মাদক সহ আটক করে ৫০ হাজারের বিনিময়ে ছেড়ে দেন। টাকা লেনদেন করেন তুষার বলে জানান ভুক্তভুগি মাদক ব্যাবসায়ী তানজিমা, যদিও প্রথমে ভুক্তভুগীর নিকট পরিচয় গোপন রাখেন। প্রতিবেদক।

ঘটনা ২। উক্ত ঘটনার পূর্বে তানজিমের ছেলেকেও মাদক মামলা দিয়েছিলো এ এস আই সেখানেও ৭০ সত্তর হাজার টাকা নিয়েছিল বলেন জানান তার এক নিকট আত্নীয়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে প্রতিবেদকে একজন বলেন মাসিক চাঁদা দিলে জুবায়ের তাকে ধরে না, তখন সেই মাদক ব্যাবসায়ী হয় তার আয়ের মাধ্যম। মাদক ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে যারা মাদক সেবন করে যায় তাদের আটক করে ৫০০০ থেকে ৩০,০০০ হাজার পযন্ত টাকা নেয়, অন্যথায় তাদেরকেই মাদক মামলা দেয়। দেন দরবার হলে ভালো, না হলে তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে বলেন মাদক পাওয়া গেছে, অথপর চলে মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি।
সত্য ঘটনাকে মিথ্যা বানাতেও পটু এই এ এস আই জুবায়ের যেখানে অগণিত অভিযোগ সেখানে নির্দ্বিধায় অস্বীকার করে যান ঘটনা গুলো, বলেন কোনো একমহল তাকে ফাঁসাতে এই সব মিথ্যা কথা আপনাদের বলেছেন। এখন প্রশ্ন শুধু কি তার বিরুদ্ধেই মানুষ মিথ্যা কথা কেন বলছেন।আর মিথ্যা যখন বলছে তখন অধিকাংশ কেন ?অসত্য হলেও সত্য বলে স্বীকার করার মনোবল আছে বৈকি। হাসান নাম একজন বলেন বিনা কারণে তাকে আটক করে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে এই জুবায়ের। এর আগেও তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সেখানে তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছারিতার ও অনিয়মের অভিযোগ আছে। সংবাদ পর সে তার পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য স্থায়ী একটি অনলাইন পত্রিকায় তার গুণকীর্তনের প্রশংসার সংবাদ প্রকাশ করেন তিনি নিজে। উপরে সূত্রে ধরে বলতে হয় গাছ হচ্ছে মাদক ব্যাবসায়ী আর মাসিক মাসোয়ারা হচ্ছে ফল। মাদক সেবী সেবন করে ফেরার পথে আটক বাণিজ্য জন্য তারাই তখন বলির পাঠা বা বকরা। তবে উক্ত বিষয়ে কথা বলে এ এস আই জুবায়ের বলেন আমার বিষয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা বলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ফোনে যে রেকর্ড তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি সেইদিন তুষারের বোন তানজিমাকে জিজ্ঞাসা বাদ করে ছেড়ে দিয়েছি। আমি কারো কাছে টাকা নেয়নি, আমাকে তুষার কোনো টাকা দেয়নি। এছাড়া আমি কোনো মাদক ব্যাবসায়ীর কাছে কোন মাসিক মাসোয়ারা নেয় না।

উক্ত বিষয়ে চারঘাট থানার ওসি নজরুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার বিষয়টি জানা নেই, তবে কেউ যদি এরূপ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অডিও রেকর্ড সংযুক্ত

Next Post

জন্মদিনে নেতাকর্মীদের ভালবাসায় মুগ্ধ কাউন্সিলর নাহিদ হাসান

শুক্র অক্টো. ৫ , ২০১৮
সোহানুল হক পারভেজ(তানোর রাজশাহী রাজশাহীর তানোর মুন্ডমালা পৌরসভার দুই দুই বারের কাউন্সিলর ও তানোর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হাসানের এর শুভ জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে নেতাকর্মীদের লাইনধরে তার নিজস্ব অফিসের ভবনে প্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেতে দেখা গেছে। তানোর উপজেলার প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ফুল ও কেক নিয়ে […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links