নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনা নদীতে ইলিশ আহরণে জেলেরা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: নিষেধাজ্ঞার দুইমাস পর লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে আবারও পুরোদমে ইলিশ শিকারে নামছেন জেলেরা। জাল ও নৌকার মেরামতসহ সব ধরনের কাজ সেরে আজ শুক্রবার (১ মে) থেকে মাছ শিকারে নদীতে যাচ্ছেন তারা।

করোনা পরিস্থিতে সঠিক মুল্য না পাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। আর নিষেধাজ্ঞার উঠে যাওয়ায় জেলেরা খুশি হলেও অনেক জেলেই বলছেন, নিষেধাজ্ঞার দুইমাস পর সঠিক সময়ে খাদ্য সহায়তার পাননি চাল।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানায়, জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৪ শত ৭২ জন জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। মার্চ এপ্রিল ২মাস নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২মাস লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষিত এলাকায় মেঘনায় সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

আইন অমান্যকারী জেলেরা নদীতে জাটকা ধরার অপরাধে জেলায় ৪৩০ টি অভিযানে, ৫৫ টি মোবাইল কোটে এক বছর করে জেল দেওয়া হয় ৬ জনকে এছাড়া ১০ থেকে ১৫ দিন করে জেলা দেওয়া হয় ৩৭ জনকে। এছাড়া মামলা করা হয় ৮৮ টিসহ করা হয় অর্থদণ্ডও।

চর কালকিনি এলাকার জেলে আওলাদ হোসেন জানান, এ এলাকার অনেক জেলে তার মতো দাদনদার মৎস্য আড়তদারদের টাকা পরিশোধের নিষেধাজ্ঞার শেষ সময়ে মেঘনায় মাছধরতে নদীতে নেমেছেন। সরকার নদীর পাড়ের আড়ৎগুলো বন্ধ রাখলে কোন জেলে আর মাছধরতে নামতো না।

জেলেরা জানায়, নিষেধাঙ্গার আগে খাদ্য বরাদ্ধ আসলেও তা দেওয়া হয়না সঠিক সময়ে। আর সে সুযোগ পুঁজি করে সিন্ডিকেট করে নদীর পাড়ে আড়ৎ বসিয়ে তাদেকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে বাধ্য করা হয় নদীতে যেতে। যথা সময়ে চাউল অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ টাকা দেওয়া হলে নিষেধাঙ্গায় নদীতে নামতেন না তারা উল্লেখ করে জেলেরা দাবি করেন।

মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, করোনা পরিস্থিতে ও রমজানে বাজারে মানুষের হাতে টাকা না থাকায় ইলিশের চাহিদা কম রয়েছে। রয়েছে যাতায়েতে গাড়ি বন্ধ থাকার কথাও। সে জন্য এ পরিস্থিতে নদীর পাড়ের আড়ৎগুলো থেকে বেশি দামে ক্রয় করে বিক্রিতে কম মূল্যেও আশঙ্কা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জানান, নিবন্ধিত রয়েছে ৪৩ হাজার ৪ শত ৭২ জন জেলের জন্য এ পর্যন্ত দুই কিস্তিতে মোট ৩১ হাজার ৬ শত ৮৮ মেট্রিক টন চাউলের বরাদ্ধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রথম কিস্তির চাউল দেওয়া হলে বাকী কিস্তির চাউলগুলো ৭ তারিখের মধ্যে জেলেদের মাঝে স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেওয়া হবে।

Next Post

ঋষি-নীতুর লাভস্টোরি সিনেমার থেকে কিছু কম নয়

শুক্র মে ১ , ২০২০
রাপ্র ডেস্ক: সাদা শার্ট, হাতে গিটার, গলায় সাদা লাল মাফলার। বাহু বিস্তার করে ঋষি বললেন, হাম, তুম সনম…সাতো জনম …মিলতে রহে …কুছ অ্যায়সে। প্রেমের মন্ত্র উচ্চারণ করলেন ঋষি। এই গানের শব্দের মতোই সাত জন্মের বাঁধনে বাঁধা পড়লেন ঋষি-নীতু। যাওয়ার কালে মনে করিয়ে দিয়ে গেলেন সেই ফেয়ারিটেল লাভস্টোরি। ফিল্মি পরিবারের রোমান্সও […]

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links