নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সফতার কোন মূল্য নাই, আছে গ্লানি আর বঞ্চনা এমন ভাবা যেমন ঠিক নয়, তেমনি হয়রানি আর সম্মানহানি হওয়ার ভয় প্রতিনিয়তই তাড়া করে বেড়ায় সফল ব্যাক্তিদের । সফলভাবে কাজ করায় রাজশাহী মহানগর ডিবির হাসান পেয়েছেন আইজি পদক । আছে বেশ কয়েকবার শ্রেষ্ট অফিসারের কৃতিত্ত্বের সার্টিফিকেট । কর্ম যেমন করেছেন ফলও তেমন পেয়েছেন । ঝুঁড়ি ভর্তি সফলতা দেখে ঈষানিত কতিপয় মানুষ । তাদের দেওয়া ভিত্তিহীন অযোক্তিক তথ্য গণমাধ্যমকে দিয়ে তার সফলতা মেলানের অপচেষ্টা চলছে । গণমাধ্যমকে বিভ্রান্তকর তথ্যদিয়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতেই চক্রটি বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে । দীর্ঘদিনের চাকুরীতে হাসানের ঝুড়িতে আছে, অস্ত্র, মাদক, চুরি, ছিনতাই, জাল টাকা উদ্ধারসহ অনেক বড় বড় সফলতা । তবে তার সব সফলতার মধ্যে বড় সফলতা হলো, জামায়াত শিবির দমনে বড় বড় সফল অভিযান সম্পূর্ণ করা । আর এই কাজটি করায় তাকে টার্গেট করেছেন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি । এই রাজনৈতিক অপশক্তিটি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সুবিধা পাইয়ে দিতেই নানা ভাবে এস আই হাসানকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, যা ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে । দীঘদিন পূর্বের নানা ইতিহাস টেনে সফলতাকে মেলান করার সেই অপচেষ্টায় কাজ করছে সরকার বিরোধী জামায়াত শিবিরকে মামলা দেওয়া বিশেষ একটি চক্র ।
কি কাজ করেছেন এস আই হাসানঃ অসংখ্যা নাশকতা মামলার আসামী যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত- শিবিরসহ নাশকতার একাধিক মামলার বাদী, সাক্ষী ও তদন্তকর্মকর্তা হয়েছেন রাজশাহী মহানগর ডিবির এসআই হাসান। সেই সাথে মাদক বিরোধী অভিযানেও সফলতার শীর্ষে ছিলেন তিনি।
বিশেষ করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল থানার পাশাপাশি রাজশাহী মহানগর ডিবির এসআই হাসান ছিলেন জঙ্গী ও মাদক নির্মূলে শক্ত অবস্থানে। রহমান জুট মিলের ছিনতাই হওয়া ১৭লাখ টাকার ডাকাতি মামলা তদন্তে পান সফলতা,উম্মোচন করেন সঠিক রহস্য,গ্রেফতার করেন নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য এদের বিরুদ্ধে আদালতে দাখিল করেন অভিযোগপত্র।
রাজশাহীতে নাশকতা মামলার আসামী জামাত – শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের সদস্যরাও ছাড় পাননি এসআই হাসানের হাত থেকে।যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবুনালে সাজা পাওয়া রাজশাহীর পলাতক কুখ্যাত টিপু রাজাকারকেও গ্রেপ্তার করে আদালতে বিচারের সম্মুখীন করেন এস আই/হাসান।যে কারনে বাংলাদেশ পুলিশের অন্যত্তম পদক আইজিপি ব্যাচ ২০২০ প্রাপ্ত হন এসআই হাসান।
বিশেষ করে জাল টাকা উদ্ধার, কাস্টমস কর্মকর্তার বাড়ী থেকে নিয়োগ বানিজ্যের টাকা উদ্ধার,হাজার হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার,নাশকতার মামলার পলাতক আসামী মহানগর শিবির সভাপতি মন্জুরকে অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার, কেন্দ্রীয় জামায়তের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমানকে জিহাদি বইসহ গ্রেপ্তার,সম্প্রতি রুয়েট শিক্ষকে হামলার মূল তিন আসামী গ্রেপ্তার, রাজশাহী পলেটেকনিক্যালে শিক্ষককে পুকুরে ফেলে দেয়া মামলায় ২৪ ঘন্টায় আসামী গ্রেফতার, মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধারসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়ে যাওয়া ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ ছিল অত্যন্ত প্রশংসিত।
এই ধারাবাহিকতায় আরএমপির শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে রাজশাহীর মাননীয় পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে বারংবার পুরস্কার গ্রহণ করে রাজশাহী মহানগর ডিবি।
এই ধারাবাহিক সফলতাকে কলংকিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বর্তমান সরকার বিরোধী জামায়াত- শিবির নিয়ন্ত্রিত একটি চক্র। এই চক্রে আছে মাদক ব্যবসায়ী,হুন্ডির গড- ফাদার, র্যাবের হাতে বারংবার গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসী ও সাথে প্রশাসনেও ঘাপটি মেরে থাকা সরকার বিরোধী কিছু সক্রিয় সদস্য।
এই সকল চক্র রাজশাহীর বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে গিয়ে রাজশাহী মহানগর ডিবির এসআই হাসানকে কলংকিত করার জন্য নামে-বেনামে অভিযোগ জমা দিচ্ছে। যা মিডিয়াকে পথভ্রষ্ট করার নামান্তর।
অভিযোগে এমনও বলা হয়েছে এসআই হাসানের টিম কোন এক মহিলা আসামীকে ৩ ধরে আটকে রেখে ধর্ষন করে মাদক মামলায় চালান দেয়।
অবশ্য এই সকল রুপকথার অভিযোগকারীর বেশীর ভাগই হয় মাদক ব্যবসায়ী নতুবা সরকার বিরোধী একটি সক্রিয় চক্র।
এ বিষয়ে আর এম পির মিডিয়া মুখ্যপাত্র অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, এর আগে এস আই হাসানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আমরা পাইনি, তবে কেউ অভিযোগ দিলে তা তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেব । তিনি আরো উল্লেখ্য করেন, কেউ যদি পুলিশের কাছে হয়রানির শিকার হয়, তাহলে তা পুলিশের অন্যান্য অভিযোগ সেলে অভিযোগ করতে পারেন । অন্যথায় সরাসরি পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে পারেন । এছাড়াও ভুক্তভুগি মেয়ে বা ছেলে যেই হোক না কেন? সে অবশ্যই আইনের আশ্রয় নিতে পারেন । কোন অদৃশ্য অভিযোগ আমরা আমলে নিবো না । অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।