নাটোর জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা ।

নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোর জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলয় করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা হয়েছে। সোমবার (১৩ জুলাই) তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় ও প্রস্তুতি বিষয় ডিজিটাল প্লাটফর্মে নাটোর জেলার ডিসি, এসপি, খাদ্য কর্মকর্তা, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মতবিনিময় সভা করেন।

সভায় জানানো হয়, চলতি বর্ষা মৌসুমে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে পানিতে চলনবিলসহ নাটোরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।  লক্ষ্য করা যাচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী এবার বন্যা পূর্ববর্তী সময়ে এর প্রস্তুতি কীভাবে গ্রহণ করলে চলনবিলসহ জেলার মানুষদের জানমালের ব্যাপক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে জেলা, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

ইতিমধ্যে প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া, ইটালি, কলম, চামারি, শেরকোল লালোর, ছাতারদিঘী, চৌগ্রামসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় বন্যা কবলিত সব এলাকায় প্রয়োজনে গতবারের বন্যার সময়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা এবং স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বাঁধের ভাঙ্গন রক্ষায় সেখানে বালির বস্তা দিতে এবং ভবিষ্যতে মেরামতের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও এলাকা তালিকাভুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  স্থানীয়দের বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচলে বিরত থাকতে হবে জানানো হয়।

বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ত্রাণ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ মজুত রাখার জন্য বলা বলা হয়েছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এর প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও মজুত রাখার জন্যও বলা হয়েছে।

সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যুৎ কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতাল ও থানায় জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে।

সভায় আরও জানানো হয়, আর কিছুদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। নাটোর জেলায় প্রায় ৯ হাজার খামারি আছে যারা গবাদিপশু লালন-পালন করছে।

 

Next Post

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোরবানির পশু বেচাকেনার আহ্বান ।

মঙ্গল জুলাই ১৪ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অনলাইন বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সোমবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আহ্বান জানান তিনি। এ বছর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে, এ কথা উল্লেখ […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links