নবম শ্রেণির চার স্কুলছাত্রীকে জিম্মির পর ধর্ষণ, সন্দেহভাজন আটক-২ ।

আভা ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় নবম শ্রেণির চার স্কুলছাত্রীকে জিম্মির পর তিনজনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তাদের উপজেলার সাতকোয়া বন এলাকা থেকে উদ্ধার করে সোমবার বিকেলে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত রোববার রাতে সংঘটিত এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীদের এক অভিভাবক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা ঘাটাইল এ.সি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার উপজেলার এসই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দোয়া ও বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির চার ছাত্রী বিদ্যালয়ে এসে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক দুপুর দেড়টায় তারা ঝড়কা এলাকায় যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বন্ধু হৃদয় ও শাহীন।

পরে তারা আশিক নামের এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে সাতকুয়া এলাকায় সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জের উত্তর-পশ্চিম দিকে ঘুরতে যায়। এ সময় ৫-৭ ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে এবং হৃদয়, শাহীন ও আশিককে মারধর করে তিন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এসময় আরেক ছাত্রী দেখতে ধর্ষকদের একজনের ভাগ্নির মতো হওয়ায় তাকে ধর্ষণ করা থেকে বিরত থাকে ধর্ষকরা। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই তিন ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে তারা।

পরে ওই চার ছাত্রী সেখানে তাদের একজনের নানির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো হয়। অভিভাবকরা থানা পুলিশকে জানালে তারা চার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এক স্কুলছাত্রীর চাচি জানান, যারা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ঘাটাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুল আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় শিশু অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। স্কুলছাত্রীদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানভীর আহমেদ জানান, চার স্কুলশিক্ষার্থী শারীরিকভাবে কিছুটা ভালো থাকলেও মানসিকভাবে তারা বিপর্যস্ত। মেডিকেল টিম গঠন করে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় ডা. সদর উদ্দিন সোমবার বিকেলে স্কুলছাত্রীদের ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে। পরীক্ষা শেষে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে বলেও জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

Next Post

রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা

মঙ্গল জানু. ২৮ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শাখা’র ছাত্রলীগ কর্মী অর্ণব পিউস বিশ্বাসকে মারধর করেছে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু ও তার ক্যাডার বাহিনী। এ নিয়ে গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারী) নগরীর মতিহার থানায় ভূক্তভোগী ছাত্রলীগ সদস্য অর্ণব পিউস বাদী হয়ে “মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি” রুয়েট শাখা’র […]

এই রকম আরও খবর

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links