নন্দীগ্রামে ৪টি ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম কামাল (আনারস) প্রতীকে ৫ হাজার ৯৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রভাষক আব্দুল বারী বারেক (চশমা) প্রতীকে ৫ হাজার ৮৯৩ ভোট পেয়েছেন।

ভাটরা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী (নৌকা) প্রতীকে ১০ হাজার ৬০৯ ভোটে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহেল বাকী (ঘোড়া) প্রতীকে ৮ হাজার ২৩৪ ভোট পেয়েছেন।

থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন (আনারস) প্রতীকে ৮ হাজার ৯০৭ ভোটে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিল্লুর রহমান (অটোরিক্সা) ৭ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়েছেন।

ভাটগ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ (চশমা) প্রতীকে ৮ হাজার ৪৩৮ ভোটে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুলফিকার আলী (নৌকা) প্রতীকে ৬ হাজার ২৪০ ভোট পেয়েছেন।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। ৪টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫০ হাজার ৮৮১ ও মহিলা ৫১ হাজার ১১৪ জন।

প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ও দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তবে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন।

৪টি ইউনিয়নে ২ প্লাটুন বিজিবি, পুলিশের মোবাইল টিম ও র‌্যাব সদস্যরা টহল দিয়েছেন। এছাড়া দায়িত্বরত ৫জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন কঠোর। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৪জন করে পুলিশ সদস্য ও ১৭ জন আনসার সদস্যের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো অপপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আব্দুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ, সহকারী পুলিশ সুপার আহমেদ রাজিউর রহমান, থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।

Next Post

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ফারুক আর নেই

সোম ডিসে. ২৭ , ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসাইন মারা গেছেন। সোমবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। সমাজকর্ম বিভাগের সভাপতি ড. কে. এম. রবিউল করিম […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links