নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলার কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলায় পুরদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ । গত মৌসুমে ধানের দাম ভাল পাওয়ায় আগাম বোরো ধান কাটামাড়াইয়ে ঝুঁকে পড়েছে নন্দীগ্রামের কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারণে দ্রুত বোরোধান কাটা মাড়াইয়ে এখন ব্যস্ত কৃষক।
নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর ১৯ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। যার উ পাদন লক্ষ্যমাত্রা র্নিধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৮শত ৩৬ মেট্রিক টন। তবে এর চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা র্অজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নে বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।
উপজেলার ২নং নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের বিজয়ঘট গ্রামের সাহাদত আলীর সাথে কথা বললে জানা যায়, এবছর ধানের ফলন খুব ভালো হবে এবং জমিতে কোন ধরনের রোগ-বালাই নাই। গত বছর শিলা বৃষ্টির কারণে ধানের ফলন খুব কম হয়েছিল তাই আমরা আগাম বোরো ধান আবাদ করি। এছাড়া একই ইউনিয়নের ভাদুম গ্রামের কৃষক আজিজার রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এবার গত বছরের চেয়ে ধানের আবাদ ভালো হয়েছে এবং ফলন বেশি হবে বলে আশা করছি। ধানের দামও ভালো পাবো বলে আশা করছি।
নন্দীগ্রাম ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের সিধইল গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম ফটিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন তার ২৫ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপন করেছে। তিনি আরো বলেন, এবার আমন ধানের দাম ভাল পাওয়ায় আগাম বোরো ধানের রোপন শুরু করেছিলাম। এবং এবার ধানের ভালো তাই আশা করছি গত বছরের বোরো ধানের ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব। নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের রনবাঘা হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি মন ধান ১০৭০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের সাথে আরো কথা বলে জানা যায়, রোপন থেকে শুরু করে ডিজেল, বিদ্যু ও সারের কোন সংকট ছিল না। এছাড়াও ছিলোনা কোন বালা মসিবত । আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে গত বছরের শীলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের যে ক্ষয়-ক্ষতি তা এবার কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে মনে করছে কৃষক।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ফসল উ পাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক খুশির হাসি হাসবে।