নতুন সাজে সেজেছে রাজশাহী সিটি, আগামী ১ মার্চ মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ৫ বছর পর আগামী ১ মার্চ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলন ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে নগর রাজনীতি। পদপ্রত্যাশীদের পোস্টার, ফেস্টুন আর ব্যানারে নগরীর সড়ক ও মোড়গুলো রঙিন হয়ে উঠেছে।

প্রতিদিন ওয়ার্ডগুলো সরগম হয়ে উঠছে সম্মেলন সফল করার মিছিলে। তবে এবার নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই পদে কে আসছেন তা নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিকল্প দেখছে না নেতাকর্মীরা। ফলে এ পদ নিয়ে ভাবছেন না তারা। তবে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী রয়েছেন ডজন খানেক নেতা। শীর্ষ এই পদপ্রত্যাশী বেশী হওয়ায় ফেসবুকসহ চায়ের কাপে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার পদটি ধরে রাখতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। ক্লিন ইমাজের শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পদক পদ পথে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন নগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নাইমুল হুদা রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু। যাদের মধ্যে পারিবারিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুবাদে বেন্টুর নগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনে শক্তিশালী অবস্থান ও সমর্থন রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

এদের বাইরে সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, নওশের আলী, আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ শরিফুল ইসলাম বাবু, ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের আহমেদ রুবন।

নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা আহসানুল হক পিন্টু বলেন, রাজশাহীর তৃণমূল নেতাকর্মীরা চান টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক কেউ মহানগরে নেতৃত্বে আসতে না পারেন। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে পারবে এমন নেতৃত্ব চাই।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে বজায় রেখে রাজনীতি করে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং তাদের নূন্যতম চাওয়া পাওয়া ও দুঃখ্য-কষ্ট সমাধান করার চেষ্টা করি আমার জায়গা থেকে। এছাড়াও যেহেতু তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছি। তাই তৃণমূলের সমস্যা ও দুঃখ-কষ্ট বুঝি। সেই বিবেচনায় যদি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হতে পারি তবে মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করতে পারবো।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হুদা রানা বলেন, অনেক প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে দল ছেড়ে চলে যায়নি বা নিস্কৃয় হয়ে পড়িনি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছে এবং দলের জন্য এখনো সরব রয়েছে। এ ধরণের নেতাদের নেতৃত্বে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর। ওই কাউন্সিলে খায়রুজ্জামান লিটন সভাপতি ও ডাবলু সরকার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

Next Post

মুজিববর্ষে রাজশাহীতে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন মামলা নিষ্পত্তির ঘোষণা ।

বৃহস্পতি ফেব্রু. ২৭ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মুজিববর্ষে রাজশাহীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার তাঁর ম্যাজিস্ট্রেসিতে গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ মামলা নিষ্পত্তির ঘোষণা দেন। গত বছর মামলা দায়েরের চেয়ে নিষ্পত্তি বেশি হওয়ায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ বিভাগ, চিকিৎসক, প্রসিকিউটর ও আইনজীবীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বিচার প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই নিজ নিজ […]

এই রকম আরও খবর

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links