নতজানু রাষ্ট্রীয় নীতির কারণে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া৷

আভা ডেস্কঃ নতজানু রাষ্ট্রীয় নীতির কারণে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া৷ রাষ্ট্র চাইলে এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যাওয়ারও সুযোগ আছে বলে মনে করেন তিনি৷

সীমান্ত হত্যা বন্ধে ২০১১ সালে বিজিবি ও ভারতের বিএসএফের মধ্যে একটা চুক্তি হয়েছিল৷ চুক্তিতে বলা হয়, সীমান্ত পারাপারে মানুষ হত্যায় অস্ত্র ব্যবহার করবে না এই দুটি দেশ৷ চুক্তি করেও বন্ধ হয়নি সীমান্ত হত্যা৷

রাজনীতি | 26.04.2019

সীমান্তে হত্যা বন্ধে নেই কোনো উদ্যোগ

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে সীমান্তে ২৯৪ বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ৷  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে ৬৬ জন, ২০১০ সালে ৫৫, ২০১১ সালে ২৪, ২০১২ সালে ২৪, ২০১৩ সালে ১৮, ২০১৪ সালে ২৪, ২০১৫ সালে ৩৮, ২০১৬ সালে ২৫, ২০১৭ সালে ১৭ ও ২০১৮ সালে ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷

ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, ”যেসব সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল আনা-নেয়া হচ্ছে সেখানে তো সীমান্তরক্ষীর বাহিনীর গুলিতে কেউ মারা যাচ্ছে না৷ আবার মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনা-নেয়ার সময়ও গুলিতে কেউ মরছে না৷ ”

‘যেসব সীমান্ত দিয়ে গরু আনা হচ্ছে সেখানেই মানুষ মারা যাচ্ছেন’

‘‘যেসব সীমান্ত দিয়ে গরু আনা হচ্ছে সেখানেই মানুষ মারা যাচ্ছেন৷ এখন তো গরু চোরাচালান অনেকটাই বন্ধ হয়েছে৷ তারপরও কেন সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামছে না?”-প্রশ্ন রাখেন আইনজীবী জ্যোতির্ময়৷

আলাপ | 15.02.2016

সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে

তিনি  আরো বলেন, ‘‘আমরা তো এর আগে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানদের বলতে শুনেছি, গুলিতে যে মারা গেছে সে গরু চোরাকারবারি৷ অথচ আমরা আমাদের গ্রামে ঢুকে তাদের মারতে দেখেছি৷ এখন ওরা বড় দেশ৷ আমরা অনেক ছোট৷ কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রীয় পলিসি তো শক্ত হতে হবে৷ নতজানু পলিসির কারণে আমরা এটা বন্ধ করতে পারছি না৷ আমরা তো প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই৷ ফলে রাষ্ট্র আইসিসিতেও যাবে না৷’

বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিকার বলেছেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে৷ তার আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর৷ ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পিলখানায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন উদ্বোধন করে তিন বলেছিলেন, ‘‘আমি আশা করবো এই বৈঠকের পর সীমান্ত হত্যা শূন্যে নেমে আসবে৷ আমরা সীমান্তে আর কারো মৃত্যু দেখতে চাই না৷”

‘দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, তাহলে গ্যাপটা কোথায়? ’

তারও আগে, ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের সঙ্গে বৈঠক করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন৷ বৈঠক শেষে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড অনেক কমেছে বলে দাবি করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ আর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন তার এই বক্তব্য শুনে সীমান্তে হত্যা ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান৷

এ প্রসঙ্গে, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, তাহলে গ্যাপটা কোথায়? সেটা আসলে আমরা বুঝে উঠতে পারছি না৷ একটা হতে পারে আমরা ছোট দেশ, আর ওরা বড় দেশ৷ এ কারণে ওরা আমাদের কথা গুরুত্বই দিচ্ছে না৷ এই কারণে আমি বলি, আলোচনাটা আরো বাড়াতে হবে৷ শীর্ষ পর্যায়ে কথা বলতে হবে৷ তাহলে যদি সমস্যাটার সমাধান করা যায়৷ অন্য কোন পথ তো আমি দেখি না৷”

সুত্রঃ এভি-১, বাংলা শব্দ

Next Post

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়াসহ দুই দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীরা।

শুক্র জুলাই ১২ , ২০১৯
আভা ডেস্কঃ ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়াসহ দুই দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রীদের ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমন্ডিতে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links