আভা ডেস্কঃ মন্ডা আর মণি দুই ভাই-বোন। তাদের বাবা-মা নেই। এলাকার বর্তমান চেয়ারম্যানের ইচ্ছা-ক্রিকেট খেলায় কাপ জিতে মানুষকে দেখিয়ে দেবে তার শক্তি। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মন্ডা। কারণ মন্ডাদের কাছে হেরে যাওয়া কিছুতেই মেনে নেবে না চেয়ারম্যান। কিন্তু মন্ডা খেললে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই রাতের আঁধারে কে বা কারা মণির পাশ থেকে মন্ডাকে তুলে নিয়ে যায়।
এরপর মণির চাচা জানায়, মন্ডা হয়তো শহরে চলে গিয়েছে। কারণ শহরে ক্রিকেটারদের দাম আছে। মণিরও উচিত শহরে গিয়ে মন্ডাকে খোঁজা। কথামতো মণি শহরে যায়। সেখানে সাদিকের বাড়িতে উঠে। এ বাড়িতে অনেক কাজ করে সে। ওই বাড়ির আয়ান মহল্লার ক্লাবে ক্রিকেট খেলতে যায়। তার ক্রিকেট ব্যাগ বয়ে বেড়াতে হয় মণিকে। মণি সেখানে তার সমবয়সীদের পেয়ে যায়।
এরমধ্যে ওই পাড়ায় একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমে মণি প্রথম ম্যাচে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে। কিন্তু ছেলেদের টুর্নামেন্টে মেয়েরা কেন খেলবে? এই যুক্তিতে পরের ম্যাচটা মণি খেলতে পারে না। ফলে মণির দল হেরে যায়। আয়ানের বুদ্ধিতে মণির চুল কেটে ছেলেদের মতো সাজিয়ে দেওয়া হয়। নাম রাখা হয় ‘মাশরাফি জুনিয়র’।
এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘মাশরাফি জুনিয়র’। আসফিদুল হকের চিত্রনাট্যে এর সংলাপ রচনা করেছেন মো. মারুফ হাসান। দীপ্ত টিভির জন্য এটি নির্মাণ করছেন সাজ্জাদ সুমন। নাটকের নামে মাশরাফি থাকলেও এটি বিশ্বনন্দিত ক্রিকেটার মাশরাফির জীবনী নয়।
এরই মধ্যে শতাধিক শিশু-কিশোরের অডিশন নিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে শিল্পী। ‘জুনিয়র মাশরাফি’ চরিত্রে অভিনয় করছেন শিশুশিল্পী সাফানা নমনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ (৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে নাটকটির শুটিং।
এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন—চিত্রলেখা গুহ, ফজলুর রহমান বাবু, লুৎফর রহমান জর্জ, শতাব্দী ওয়াদুদ, গোলাম ফরিদা ছন্দা, রুনা খান প্রমুখ।
