আভা ডেস্কঃ ধানের শীষের গণজোয়ারে ভয় পেয়ে আওয়ামী লীগ তার গণসংযোগে হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন।
মঙ্গলবার উত্তরার ৯নং সেক্টরে গণসংযোগ শেষে এমন হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি নির্ধারণ করি। কিন্তু প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ আমাদের ঘোষিত স্থানে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছে। আর যদি আমাদের কোনো প্রোগ্রাম ষড়যন্ত্র করে বানচাল করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে বসে থাকব না। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তাই করব।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ৫০নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ শুরুর কথা ছিল তার। কিন্তু সেখানে বিএনপি, মহিলা দলসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা জমায়েত হলে তাদের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর। তাই সংঘর্ষ এড়াতে উত্তরা ১০ নম্বর ও ১১ নম্বর সেক্টরে গণসংযোগ শেষ করে বাংলাদেশ মেডিকেল সংলগ্ন বটতলায় পথসভা করেন তিনি।
এ সময় নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ৫০নং ওয়ার্ডে আমাদের গণসংযোগ ছিল। সেখানে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করেছেন। আমি ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, ধানের শীষের জনস্রোত দেখে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগ কোনো না কোনো প্রক্রিয়ায় আমাদের প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছে। কখনও রাতের আধারে, কখনও দিনের আলোতে কর্মী-সমর্থকদের বাসাবাড়িতে হামলা করা হচ্ছে। হামলা করা হচ্ছে গণসংযোগেও। মঙ্গলবারও প্রচারে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।
এর আগে সকালে উত্তরা ৯নং সেক্টর থেকে নেতাকর্মী-সমর্থক সঙ্গে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারে নামেন জাহাঙ্গীর। এ সময় বিএনপি সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপি নেতা আকরামুল হাসান, ওমর ফারুক শাফিন, আবদুল আলীম নকি, সুমন সরকার, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজাউল হক রিয়াজ, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সভানেত্রী পিয়ারা মোস্তফাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে সকালে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে যুবদলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জাহাঙ্গীর।
এ সময় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সহসভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুঁইয়া পিংকুসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।