ধানের দাম মণ প্রতি কমপক্ষে ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী-২ আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ধানের দাম মণ প্রতি কমপক্ষে ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী-২ আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেছেন, এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে কৃষকের কমপক্ষে ৯ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। তাই ধানের দাম ১ হাজার ১০০ টাকার নিচে রাখা যাবে না।

গতকাল রোববার (১৯ মে) সকালে ‘কৃষি বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও’ শ্লোগানে ধানের দাম বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী জেলা ও মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি বিক্ষোভ-সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশেই প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশা।

তিনি বলেন, দেশে একটা সময় দুর্ভিক্ষে মানুষ মারা যেত। প্রযুক্তির ব্যবহারে এখন কৃষির উন্নয়ন হয়েছে। এখন কৃষি মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। আমি বলি, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে মন্ত্রীর কোনো প্রয়োজন নেই। কৃষকরাই এই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংম্পূর্ণ করতে পারে। কৃষক হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে ফসল ফলায়, কিন্তু এর কৃতিত্ব তাদের দেয়া হয় না।

তিনি বলেন, আজকে দেশে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। মন্ত্রীরা বলেন, ক্ষেতমজুরের সংকটও নাকি উন্নয়নের মাপকাঠি। অথচ বুঝতে হবে আজকে কৃষির বেহাল দশা। কৃষক না খেয়ে মরছে। উন্নয়নের এসব ফাঁকা বুলি দিয়ে কোনো লাভ নেই। রাজনীতিতে এখন ব্যবসায়ীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে উল্লেখ করে বাদশা বলেন, রাজনীতিতে এখন এতো ব্যবসায়ী এসেছেন, তাদের মনোভাব শুধু খাদ্য আমদানির দিকে। খাদ্য আমদানি করা গেলে তারাই সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। তারা মনে করেন, খাদ্য আমদানি করা গেলে ব্যবসা হবে। তাই কৃষকের স্বার্থ দেখেন না। এ দেশে বড় বড় মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। কিন্তু কৃষকের ধান রাখার জন্য গুদাম নির্মাণ হয় না। ফজলে হোসেন বাদশা এ সময় অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামালেরও সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী কোনো ধরনের বিচার-বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই বলেছেন, বাংলাদেশ কানাডার মতো হয়ে গেছে। আমি বলি, কানাডা নয়, বাংলাদেশ আমেরিকার মতো হয়ে গেছে। সেখানেও পুঁজিবাদী, এখানেও পুঁজিবাদী। বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে পাঁচ ভাগ মানুষের। সমাবেশ শেষে এ দাবিতে ফজলে হোসেন বাদশাসহ ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদেরকে স্মারকলিপি দেন। এতে ধানের দাম ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ ছাড়াও রাজশাহীর প্রতিটি

ইউনিয়নে জরুরী ভিত্তিতে সরকারিভাবে ধান কেনা, কৃষকদের ধান বিক্রি নিশ্চিত, আগামী মৌসুমে কৃষকদের বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক, নতুন খাদ্যগুদাম নির্মাণ করে উৎপাদিত খাদ্যশষ্যের ১৫ ভাগ মজুত এবং গুদামে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৈরাত্ম বন্ধের দাবি জানানো হয়।

এর আগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- পার্টির জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগরের সম্পাদকম-লীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সাদরুল ইসলাম প্রমুখ

Next Post

ভৈরব নদী উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ কেন?

রবি মে ১৯ , ২০১৯
আভা ডেস্কঃ গত মার্চ মাসের শেষ নাগাদ যশোর শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদ গ্রাস করার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যশোর জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর অফিস এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের যশোর অফিসের জোরালো উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার খবরটি আমাদের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছিল। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links