আভা ডেস্কঃ প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের ভালো জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। মিরপুরে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ১৪৩ রান। বাংলাদেশ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।
মঙ্গলবার দিন শেষে ৭০ রানে অপরাজিত রয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ কারুনারত্নে। তাকে রানের খাতা না খুলে সঙ্গ দিচ্ছেন নাইট ওয়াচম্যান কাসুন রাজিথা। এখনও স্বাগতিকদের চেয়ে সফরকারীদের পিছিয়ে ২২২ রানে।
ঢাকা টেস্টে নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন দুই লঙ্কান ওপেনার। উইকেটে থিতু হয়ে একের পর এক বাউন্ডারি মেরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ কারুনারত্নে। টাইগারদের সামনে দুটো সুযোগ এসেছিল থিতু হয়ে বসা এই জুটি ভাঙ্গার।
প্রথম সুযোগ আসে তাইজুল ইসলামের হাত ধরে। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে ফার্নান্দোকে এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েও প্রথমবারের মতো জীবন পান ফার্নান্দো।
দ্বিতীয় সুযোগ হাতছাড়া করেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে সাকিব ফার্নান্দোর ক্যাচ নিতে পারলে ৪৩ রানে তাকে ফিরে যেতে হত সাজঘরে।
দুইবার জীবন পেয়ে চা বিরতির আগে ব্যক্তিগত অর্ধশতক হাঁকান ফার্নান্দো।
উইকেটশূন্য অবস্থায় চা-বিরতি থেকে ফেরার পর শুরুতেই ওশাদা ফার্নান্দোকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৫৭ রান করা লঙ্কান ওপেনারকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন এবাদত হোসেন। ৯৫ রানে তাদের প্রথম উইকেট হারায় সফরকারী দল।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন দিমুথ কারুনারত্নে। দেখেশুনে ব্যাট চালিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। তাতে বাধ সাধেন সাকিব আল হাসান।
দিনের শেষ দিকে এসে আরও একটি ব্রেক থ্রু আসে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের হাত ধরে। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে কুশল মেন্ডিসকে ১১ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন সাকিব। আর তাতেই ১৩৯ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে লঙ্কানদের।
এরপর দিনের বাকিটা সময় নির্বিধ্নেই কাটিয়ে দেন দিমুথ কারুনারত্নে ও কাসুন রাজিথা। দলকে এনে দেন দ্বিতীয় দিন শেষে ১৪৩ রানের পুঁজি।