আভা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের আগামী দিনগুলো খুব চ্যালেঞ্জিং। যারা প্রতিপক্ষ, তারা খুব সহজে ছেড়ে দেবে না। ক্ষমতার জন্য তারা চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে। খালেদা জিয়ার জামিনকে কেন্দ্র করে তারা সর্বোচ্চ আদালতকে হুমকি দিচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডে তাদের পছন্দের ডাক্তার আছে। মেডিকেল বোর্ড রিপোর্ট দিচ্ছে, মির্জা ফখরুল তাতেও সন্দেহ করছে। সবকিছুতে তাদের সন্দেহ।
বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাল (আজ) রায় দেবে। তারা অগ্নিসন্ত্রাসের হুমকি দিচ্ছে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে। তারা সহিংসতার পথে গেলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমুচিত জবাব দেবে। আপনারা সতর্ক থাকবেন, নিজে থেকে কিছু করবেন না। তবে আক্রান্ত হলে চুপ থাকবেন না।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিএনপি নেতারা হুট করে বলল, তাদের আমলে সংখ্যালঘুরা ভালো ছিল! হায়রে দুর্ভাগা দেশ! অথচ মাইনোরিটি নির্যাতনে তাদের কর্মকাণ্ড একাত্তরের সঙ্গে তুলনা চলে।
ঢাকা মহানগর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে কেউ বারাবারি করবেন না। স্লোগান দিয়ে কাউকে নেতা বানাবেন না। নেতাদের হতে হবে কর্মীবান্ধব ও জনবান্ধব। খারাপ লোক দিয়ে দল ভারী করার প্রয়োজন নেই। আপন বলতে দলের লোককেই আপন ভাববেন। আমাদের ইমেজ ঘাটতি আছে। নতুন নেতৃত্বকে সেই ঘাটতি পূরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা সিটি নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করতে চাই। বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে এক নতুন বার্তা আমরা ভোটারদের কাছে দিতে চাই। সে লক্ষ্য সামনে রেখে ঢাকা মহানগরে নতুন দু’জনকে নেতৃত্বে নিয়ে আনা হয়েছে। মহানগরে যারা পদ পাবেন, তারা থানায় পদ নিতে পারবেন না। একই ব্যক্তির দুই জায়গায় পদ নয়।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ উত্তরের নেতা এবং দলীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগে দূষিত রক্ত থাকতে পারবে না : এদিন দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্লিন ইমেজের দলে রূপ দিতে শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানকে সফল করতে হবে। দলে কোনো দূষিত রক্ত থাকতে পারবে না। দূষিত রক্ত মুক্ত করে দলে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমপি অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খানের পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আহমদ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন।
যুগান্তর