নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও, তদন্ত দেওয়ার নামে ধোয়াশায় রেখেছে রেল কতৃপক্ষ, অন্যরা বলছে গোড়ায় গলদ।গত ১৪ মে’ সংবাদ প্রকাশ হয় পশ্চিম রেল মেডিক্যালের সিএমও ইমতেয়াজের নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে, হাতিয়ে নেওয়ার কোটি কোটি টাকার। সেই সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেন, পশ্চিমাঞ্চলের রেল কতৃপক্ষ। সংবাদের প্রতিবেদক অনেকবার তদন্তের বিষয়ে জানতে চেয়ে তেমন কোন সন্তুষ্টজনক উত্তর বা ব্যবস্থা গ্রহনের সদ উত্তর দেননি তারা । গত কাল জিএম পশ্চিম প্রতিবেদকে নিশ্চিত করেন যে সংবাদগুলো প্রকাশ হয়েছে তা সব গুলোর ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সিপিও (পশ্চিম) কে। অপর দিকে নিয়োগ বানিজ্যের নানা অনিয়ম নিয়ে ১১ এপ্রিল সংবাদ প্রকাশ হয় খোদ সিপিও’ র পিএ ফরাদ মজুমদারের বিরুদ্ধে, যার কোন ব্যবস্থা নেয়নি সিপিও।।
পশ্চিম রেলের সিপিও শাহীদুলের কাছে তদন্তের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কোন লিখিত আদেশ পাইনি।। তবে জিএম মহোদয়ের নির্দেশে কারন দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে সিএমও কে।। জানতে চাইলে তার নিজ দপ্তরে সংবাদ প্রকাশের কি? ব্যবস্থা তিনি নিয়েছেন, তখন তিনি বলেন, সব কিছু আমার হাতে নেই, কিছু বিষয় লিখিত ভাবে দিলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সিপিও অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে সকল কর্মচারী অনিয়ম করছে, যার উদাহরন স্বরুপ বলা হয় বড় বাবু ইন্দু ভূষণ মজুমদারের কথা, যে অনেকটা ওপেন ভাবে ঘুষ গ্রহন করছিল। উক্ত বিষয়ে সিপিও বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো ।
অপর দিকে একটি সুত্র নিশ্চিত করেন সিপিও দপ্তরটি নানা অনিয়মে জড়জড়িত অথচ কোন ব্যবস্থা নেননা সিপিও। এ থেকে অনেকটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় দপ্তরটির গোড়ায় গলদা আছে।।
সিপিও দপ্তরের বড় বাবু ইন্দু ভুষণ মজুমদারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের বিষয়ে জানতে চাইলে বড় বাবু খোদ বিষয়টি স্বীকার করেন যে, কেউ যদি খুশি মনে কিছু দেন, তা তিনি নেন। এটা ঘুষ না বকশিষ।