আভা ডেস্কঃ দুবাই শাসকের নিপীড়ন ও দুই সন্তানের অভিভাবকত্বে আদেশ চেয়ে লন্ডনের একটি আদালতে আবেদন করেছেন প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসেন।
মঙ্গলবার লন্ডনের উচ্চ আদালতে এ আবেদন করেন তার আইনজীবী। তবে এর বিরোধিতা করে সন্তানদের দুবাইয়ে ফেরত পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন সেখানকার শাসক।আদালত দুই দিনের শুনানির পর আগামী ১১ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন।
প্রিন্সেস হায়ার ঘরে রয়েছে দুই সন্তান। তিনি পালানোর সময় দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আসেন।এ নিয়েই লন্ডনের আদালতে মামলা চলছে।দুবাইয়ে শাসক তার সন্তানদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে চান।মঙ্গলবার শুনানি শুরু হয়।দুই দিন চলে শুনানি।পরে বৃহস্পতিবার আদালত জানায়,আগামী নভেম্বরে এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিচার শুরু হবে।তবে এই শুনানিতে দুবাইয়ের ধনকুবের এ শাসক আদালতে উপস্থিত ছিলেন না এবং তার প্রতিনিধিরাও এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মামলার তথ্যের বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে।এর বিষয়বস্তুর সামান্য প্রকাশের অনুমতি দিয়েছে আদালত।ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,দুই সন্তানের মধ্যে এক সন্তানের জোরপূর্বক বিয়ে ঠেকানোর আবেদন করেছেন হায়া।এদিকে বার্তা সংস্থা পিএ জানিয়েছে,দুই সন্তানেরই অভিভাবকত্ব চেয়ে আবেদনের পাশাপাশি নিজের প্রতি নিপীড়ন বন্ধের আদেশ দেয়ার আবেদন করেছেন দুবাই শাসকের ৬ষ্ঠ স্ত্রী।
তবে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে,আইনানুযায়ী দম্পতির দুই সন্তানের একজনের ক্ষেত্রে জোরপূর্বক বিয়ে প্রতিরোধ আইন প্রযোজ্য হবে।
লন্ডনের আদালতে আইনি লড়াই শুরুর পর শেখ মোহাম্মদ আল মাখতুম ও হায়া বিনতে আল হুসেনের এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয় এ মামলা তাদের সন্তানদের নিয়ে।
এতে বলা হয়,এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হলো দুই সন্তানের বিয়ে বিষয়ক কল্যাণ। এর সঙ্গে বিচ্ছেদ বা অর্থনৈতিক লেনদেনের কোনো সম্পর্ক নেই।’
২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মদকে বিয়ে করেন শেখ হায়া।তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বলছে,শৈশব থেকে খেলাধুলা তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে।৪৫ বছর বয়সী এই রাজকন্যা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিতে ছিলেন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির শুভেচ্ছা দূত হিসেবেও কাজ করেন তিনি।
বিভিন্ন মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করা ছাড়াও রয়াল উইন্ডসোর হোরস সো’র সহ-সভাপতি তিনি।ইমেরেটস উমেনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হায়া বলেন,আমি সাংবাদিক হতে চেয়েছিলাম। দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকীর প্রতি আমার আলাদা অনুরাগ আছে।
তার মেয়ে শেখ আল জলিলা ও ছেলে শেখ জায়েদকে নিয়ে সব সময় উচ্ছ্বসিত তিনি।আমিরাত থেকে পালিয়ে আসার সময় সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিনি।
যুগান্তর