ডেস্ক রির্পোটঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাকে ডিআইজি মিজানের ঘুষ দেওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা।
এআইজি সোহেল রানা বলেন, ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, এ তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশন) ড. মইনুর রহমান চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) শাহাবুদ্দীন কোরেশী ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিয়া মাসুদ হোসেন।
জানা যায়, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে দায়মুক্তি দিতে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার জন্য ‘চুক্তি’ করেন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। সঙ্গে দাবি করেন একটি গ্যাসচালিত গাড়ি। ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা গত ১৫ জানুয়ারি রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে নগদে নিয়েছেন এই দুদক পরিচালক। তিনি দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে একটি পত্রিকায় ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার’-এ শিরোনামে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরসহ দুদকের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সম্প্রতি দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে ডিআইজি মিজানুর রহমানের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। সেই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। সঙ্গে একটি গ্যাসচালিত গাড়িও।
এদিকে তথ্য পাচারের অভিযোগে ইতিমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা বাছিরকে বরখাস্ত করেছে দুদক। তিনি দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
ভিটি-২/এসডি